×

জাতীয়

কলিমউল্লাহর বক্তব্য ব্যক্তিগত বিশোদগার: ইউজিসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২১, ০৭:৪৩ পিএম

সংবাদ সম্মেলন করে বেগম রেকেয়া বিশ্ববিদ্যলয় উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ শিক্ষামন্ত্রী ও তদন্ত কমিটি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তার এ বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বিশোদগার আখ্য দিয়ে ইউজিসি বলছে, উপাচার্যের মতো দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কোনোভাবেই এটি প্রত্যাশিত নয়।

শনিবার (৬ মার্চ) ইউজিসির পরিচালক (জনসংযোগ) ড. শামসুল আরেফীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলন করে বেরোবি উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এ সম্পর্কে ইউজিসির বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের উচ্চশিক্ষার বিস্তার, গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভাল, আর্থিক মঞ্জুরি ও গবেষণা সহায়তা দিয়ে আসছে। ইউজিসি সব সময় নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে কাজ করছে এবং কখনোই এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ, সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে। পরবর্তী কার্যার্থে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কমিশন দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও প্রভাবমুক্তভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

তদন্তটি দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে উল্লেখ করে ইউজিসি বলছে, এতে কোনো পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বা অন্য কেউ প্রভাব বিস্তার করার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কখনো কোনো বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি। কোনো উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে এমন কোনো ধরনের পরামর্শ বা নির্দেশনা তিনি কখনোই দেননি। বরং তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব দিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App