×

পুরনো খবর

মিয়ানমারে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বাড়ছে কূটনীতিক বিদ্রোহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২১, ০১:০৬ পিএম

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশটির কূটনীতিকদের বিদ্রোহ বাড়ছে। সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার পর দেশটির জাতিসংঘ দূতকে বহিষ্কার করে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনিও পদত্যাগ করেছেন। ফলে আগের জনই ওই দায়িত্বে বহাল থাকছেন। গত বুধবার ৩৮ বিক্ষোভকারীকে হত্যার পর এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটনের মিয়ানমার দূতাবাস। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যালফাবেটের ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পরিচালিত ৫টি টেলিভিশন চ্যানেল সরিয়ে নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়। খবর রয়টার্সের।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে ব্যাপক গণ বিক্ষোভ এবং নাগরিক অসহযোগ চলছে। সেনা শাসনের অবসান এবং দেশটির নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির দাবি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস নিপীড়নের নিন্দা জানালেও পাত্তা দিচ্ছে না সেনা সরকার।

সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যবস্থা নিতে সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানানোর পর গত শনিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত কিয়াও মোয়ে তুনকে বহিষ্কার করা হয়। তার বদলে জাতিসংঘের ডেপুটি দূত তিন মং নাইংকে নিয়োগ দেওয়া হলেও পদত্যাগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই পদে কিয়াও মোয়ে তুনই বহাল থাকবেন।

এদিকে, মিয়ানমারে সেনা অভুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন ছিলো গত বুধবার। একদিনেই সেখানে নিহত হয় ৩৮ বিক্ষোভকারী। বেসামরিক মানুষের ওপর ওই নিপীড়নের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছে মিয়ানমারের ওয়াশিংটন দূতাবাস। কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত ধৈর্য্যধারণের আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়, সাগাইং, মাগওয়ে ও মন এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য। শুধু বুধবারেই আটক করা হয়েছে অন্তত ৭০০ জনকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল বাশেলেট মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অবশ্যই প্রতিবাদকারীদের হত্যা ও ধরপাকড় বন্ধ করতে হবে। দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভরতদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর তাজা গুলি নিক্ষেপ একেবারে অগ্রহণযোগ্য। বাশেলেট আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত জরুরি চিকিৎসাকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলার ঘটনায় তিনি মর্মাহত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App