×

সাময়িকী

বাঙালির ইতিহাসের নায়ক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২১, ১২:৫৭ এএম

বাঙালির ইতিহাসের নায়ক
মৃণাল বসুচৌধুরী কবি ও লেখক আপসহীন সংগ্রামী এই নেতার জীবনদর্শনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মানুষ। শৈশব থেকেই অসহায় বঞ্চিত মানুষদের জন্য তার প্রাণ কাঁদত। তখন থেকেই বিভিন্নভাবে সাধ্যমতো তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতেন। পরবর্তীকালে এসব মানুষের অধিকার অর্জনের সংগ্রামেই নিজেকে উৎসর্গ করেন তিনি। সমাজের সর্বস্তরে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এক বৈষম্যহীন দেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল আজীবন। তিনি চেয়েছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীন সত্তাকে সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং দেশ এবং দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে। বাঙালির জীবনের সার্বিক উন্নতি এবং এক শোষণহীন সমাজ গড়ার স্বপ্ন ঘিরেই গড়ে ওঠে তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা বা রাজনৈতিক দর্শন। মনে আছে, ৭ মার্চ ১৯৭১-এ দেয়া বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণ নিয়ে, মানুষকে ঘিরে তার অশ্রæসিক্ত আবেগ নিয়ে, দেশবাসীর রক্তে ভেজা পাকিস্তানি হামলাকারীদের মোকাবিলা করার আহŸান নিয়ে অনেক আলোচনা হতো আমাদের। পরে এই ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এখনো যেন শুনতে পাই সেই শব্দের মূর্ছনাÑ ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল... এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের সমস্ত কর্মকাÐের মূলে ছিল বঞ্চিত মানুষের জন্য অধিকার আদায়ের লড়াই। একজন জনপ্রিয় নেতা, সফল রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু তার সমস্ত জীবন কাটিয়েছেন বিভিন্ন সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্যেÑ মানুষের জন্য সুন্দর এক সমাজ গড়ার অস্থিরতায় তিনি চেয়েছিলেন দেশের মানুষের মুক্তিÑ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তি। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের পাক প্রশাসকদের হাতে শুধুই অত্যাচারিত, বঞ্চিত হয়েছে দেশের মানুষ। তেইশ বছর ধরে এই অত্যাচার, অন্যায় নিপীড়ন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গেই তিনি উচ্চারণ করেছিলেন ‘আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App