এক দূরদর্শী দিকনির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২১, ১২:৫৭ এএম
আহমেদ আমিনুল ইসলাম
শিক্ষক ও লেখক
৭ মার্চ পৃথিবী বিখ্যাত সেই ভাষণের পর ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন : ‘জনগণের বীরোচিত সংগ্রাম এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত মানুষ পূর্ববঙ্গের জনগণের এই দাবিকে তাদের নিজেদের দাবি বলেই গণ্য করবে। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে শাসন চালানোর ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় সংকল্প ও ঐক্যবদ্ধ জাতি কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালাতে পারে জনগণ তার প্রমাণ দিয়েছে।’ ৭ মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাঙালির জীবনে আসে ২৫ মার্চের কালরাত্রিÑ যে রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিতে এ দেশের নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। হত্যা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু। আসে ২৬ মার্চ যে দিনটিকে আমরা স্বাধীনতা দিবসের স্মারকে চিহ্নিত করেছি। তারপর দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিরিশ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। লাখো প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক উত্তাপের উত্তাল মার্চ ও বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এই উভয়ের সম্মিলন ঘটেছিল স্বাধীনতা কেবল আর বাঙালির ভাবগত জগতের বস্তুমাত্র না থেকে বাস্তবের ভোগ্য-উপভোগ্য ফসল হিসেবে আমাদের ঘরে ওঠে। সম্ভব হয়েছিল ৭ মার্চ এক অমর কবিতা উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালির সম্মুখে এক বিস্তৃত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন বলে।