×

পুরনো খবর

নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো: তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২১, ০৭:১৪ পিএম

নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ অনেক এগিয়েছে। বিএনপির দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো। বুধবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের স্মরণ সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলবো আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি শিক্ষিত মানুষ, যদিও অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলেন। কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষ। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধাবন করেছে। কিন্তু আপনি অনুধাবন করতে পারলেন না।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের হয়েছে। ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা ভারত ও পাকিস্তান থেকে অনেক বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।

ড. হাছান বলেন, বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি যদি না থাকতো, জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয়া-প্রশ্রয় দেয়া, তাদের সঙ্গে রাজনীতি না করতো তাহলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতো। তাদের এই নেতিবাচক রাজনীতি আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে চরম অন্তরায়।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুও অনভিপ্রেত, আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে যেভাবে নানা কথা বলা হচ্ছে তাতে কোনো লাভ হবে না। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এ নিয়ে যেভাবে কেউ কেউ আইন বাতিলের কথা বলছেন, তা অমূলক। কারণ আইন সবার জন্য। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সব মানুষের নিরাপত্তার জন্য। যে কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দিতেই এই আইন। তবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।

ড. হাছান বলেন, যারা মাঠ গরমের অপচেষ্টা করছে, তাদের পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে, ঘাপটি মেরে বসে আছে তারা হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। এজন্য সংস্কৃতিকর্মীদের আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারাদেশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা পাবে।

সদ্য প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কখনো ভাবিনি, এই বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি ইতিপূর্বেও বহুবার অসুস্থ হয়েছেন আবার সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার তার মৃত্যু সংবাদ আমার কাছে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছিল। তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কা পেয়েছেন। এমন শিল্পী বাংলাদেশে খুব একটা জন্ম হয়নি। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন। দুঃসময়ে রাজপথে থেকেছেন। বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে যে কয়জন অভিনয়শিল্পী সোচ্চার ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এটিএম শামসুজ্জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ।

লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কন্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App