গারদে নেওয়ার সময় সুকৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় সে। এরপর গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে লুকিয়ে থাকে এ দুর্ধর্ষ আসামি। পরে কোতোয়ালী থানায় এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তে নামে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় পালিয়ে যাওয়ার ৭দিন পর আসামি গ্রেপ্তার হয়।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকা থেকে খুন ও ডাকাতিসহ ৮ মামলার আসামি মো. হারুন অর রশীদ ওরফে সুমনকে (২৫) গ্রেপ্তারের বিষয়ে বুধবার ভোরের কাগজকে এসব তথ্য জানান ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ।
তিনি বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে নেয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতকড়া লাগানোর সময় সুকৌশলে হাতটি বাকা করে তা ঢিলে করে রাখে সুমন। পরবর্তীতে তাকে প্রিজন ভ্যান থেকে গারদ খানায় নেয়ার সময় হাতকড়া খুলে ফেলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় সে। এমতাবস্থায় ওইদিনই ডিএমপি কোতয়ালী থানায় মামলা হওয়াসহ ঢাকা জেলা পুলিশের ৮জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার মামলা হওয়ার পরই আমরা কাজ শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকার সোহাগ পল্লী কজ মার্কেট বনের ভিতর একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রথমে সে গাজীপুরে টঙ্গী, এরশাদনগর ও চান্দুরা এলাকায় গাঁ ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে গাজীপুর কালিয়াকৈর চান্দুরা সোহাগ পল্লী কজ মার্কেট বনের ভিতর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় ও সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করে। এছাড়াও সে পুলিশের হাতে ধরা পরার ভয়ে কোনো মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেনি। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে ১টি খুন, ২টি ডাকাতি, ১ টি দ্রুত বিচার আইন ও ২টি চুরি মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।