মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। এক মাস ধরে চলা সংকট শেষ করতে আঞ্চলিক একটি জোটের কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। তার একদিন পর এই ঘটনা ঘটলো। খবর রয়টার্সের।
বুধবার নিহত ১৩ জনের মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম মান্দলে শহরে দুজন এবং মধ্য সাগাইং অঞ্চলের মন্যওয়া শহরে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এই ছয়জন নিয়ে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে কমপক্ষে ৩০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হলো। গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও গ্রেফতার করে দেশটির সামরিক বাহিনী। গ্রেফতারের পর মিন্টের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রথম থেকেই সেনাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হতে থাকে মিয়ানমার। কিন্তু গত শনিবার থেকে পুলিশ মারাত্মক বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে। আন্দোলনকারীদের বেধরক লাঠিপেটা থেকে তাদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে। গত রবিবার ছিল চলমান আন্দোলনের সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। ওইদিন ১৮ নিহত হন এবং আহত হন ৩০ জন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।