×

আন্তর্জাতিক

২০৫০ সালে বিশ্বের পাঁচজনের একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগবে: ডব্লিউএইচও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২১, ০২:৫৯ পিএম

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগবে বলে এক প্রতিবেদনে এই সতর্কতার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

৩ মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবসটি সামনে রেখে মঙ্গলবার (২ মার্চ) শ্রবণবিষয়ক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। এই সংস্থাটি শ্রবণ সমস্যা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া মানুষের সংখ্যা আগামী তিন দশক অর্থাৎ ২০৫০ সালে দেড় গুণেরও বেশি বাড়তে পারে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন। যা বেড়ে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন হতে পারে, তাদের কোনো না কোনো ধরনের শ্রবণ সমস্যা থাকবে।

যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ ২ দশমিক ৫ বিলিয়নের মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন মানুষের অবস্থা এমন গুরুতর পর্যায়ে যেত পারে যে তাদের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে।

প্রতিবেদনে একটি প্যাকেজ পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্যাকেজ অনুযায়ী বছরে জনপ্রতি ১ দশমিক ৩৩ ডলার খরচ হতে পারে। কান ও শ্রবণসেবায় বিনিয়োগ লাভজনক। এই খাতে ১ ডলার বিনিয়োগ করলে বিপরীতে ১৬ ডলার ফেরত পাওয়া যেতে পারে।

শ্রবণ সমস্যার এই বিষয়কে যথাযথভাবে আমলে না নেওয়ায় প্রতিবছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

ডব্লিউএইচওর মহাসচিব তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, আমাদের শ্রবণক্ষমতা মূল্যবান একটি বিষয়। শ্রবণশক্তি হ্রাসের চিকিৎসা না হলে তা মানুষের যোগাযোগ, শিক্ষা ও জীবিকার সক্ষমতার ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্ক বজায় রাখার সক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে বিশ্বের সব দেশকে তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এই বিষয়কে একীভূত করতে উৎসাহিত করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ শ্রবণশক্তি হ্রাস প্রতিরোধ সম্ভব রুবেলা-মেনিনজাইটিসের টিকাদান, প্রসূতি-নবজাতকের যত্নআত্তির উন্নয়ন, মধ্যকর্ণের সংক্রমণজনিত প্রদাহ শনাক্ত-চিকিৎসা প্রভৃতির মাধ্যমে। আরও বড়দের ক্ষেত্রে তা প্রতিরোধ সম্ভব শব্দ নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ শ্রবণ, কানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত প্রভৃতির মাধ্যমে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App