×

সম্পাদকীয়

যথাসময়ে বাস্তবায়ন হোক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২১, ১২:০৫ এএম

স্বাধীনতার ৫০ বছর সামনে রেখে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। গতকাল ভোরের কাগজের একটি প্রতিবেদনে বলছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক কাজ এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এই অংশের সব ভায়াডাক্ট স্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিলেই জাপান থেকে মেট্রোরেলের কোচ ঢাকায় এসে পৌঁছবে। এরপরই তা রেললাইনে তুলে ট্রায়াল শুরু হবে। পুরো প্রকল্প এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে স্বল্প সময়ে মতিঝিলে পৌঁছা যাবে। রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে জনগণের অভিযোগের শেষ নেই। দুর্ভোগ ঢাকা মহানগরীর মানুষের নিত্যসঙ্গী। আশা করা হচ্ছে, ঢাকা মহানগরীর জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হবে মেট্রোরেল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর যানজট কমাতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উড়ালপথে ২০.১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ৬ মাস মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ার পর করোনা মহামারিও প্রভাব পড়ে। শুরুর দিকে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা বাংলাদেশ ছেড়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। ফলে করোনা মহামারির এই দীর্ঘ ৯ মাসে কাজে তেমন একটা অগ্রগতি হয়নি। নতুন উদ্যমে এখন কাজ চলছে। একটি মাসিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, প্রকল্পটির প্রথম ধাপের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি জানুয়ারি অবধি ৮০.২১ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৫১.২৬ শতাংশ। আর তৃতীয় ধাপে ট্র্যাকস স্থাপন করা ও ট্রেনের বগিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করার কাজের অগ্রগতি ৪৬.৩৩ শতাংশ। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা আশা করছে যথাসময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারবে। এতে করে নগরবাসীরও স্বপ্ন পূরণ হবে। ২ কোটির বেশি মানুষের শহর ঢাকা। কিন্তু সেই তুলনায় নাগরিক সুবিধা বিশেষত স্বাচ্ছন্দ্যে নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্যত্র ভ্রমণের সুবিধা এখনো খুবই সীমিত। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শেষ নেই এই মেগা সিটির নাগরিকদের। নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তি কমিয়ে আনা এবং সময় বাঁচাতে সরকার রাজধানী ঢাকাকে মেট্রোরেলের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়। বলা হচ্ছে, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ঢাকার বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহনই হতে পারে একটি কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা। মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ফলে মেট্রোরেল স্থাপিত হলে রাস্তায় যাত্রী এবং পরিবহন উভয়ের ওপরই চাপ কমবে। এর ফলে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে। মেট্রোরেলে বিভিন্ন রুটে সাশ্রয়ী খরচে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রাইভেটকার এবং অন্যান্য যানবাহনে করে চলাচল করার প্রবণতা হ্রাস পাবে। মেট্রোরেল, পাতালরেলসহ আরো ফ্লাইওভার নির্মিত হতে যাচ্ছে রাজধানীতে। তবে যেন সময়ের কাজ যথাসময়ে শেষ হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App