×

জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে পরিবর্তন আসছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২১, ০১:২৫ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে পরিবর্তন আসছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকছেই। সম্প্রতি এই আইনে গ্রেপ্তারের পর  কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আবারও সোচ্চার হয়েছে সবাই। বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা। আর এই আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধের জন্য কিছু পরিবর্তন আসছে বলে জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেন। তবে শুরু থেকেই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা এর আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।

উদ্বেগের মূল বিষয় হচ্ছে, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, গুজব রটনা বা সরকারের সমালোচনা করা-এমন সব অভিযোগে মামলা হলেই আটক করে রাখা হয় এবং আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়।

পুলিশ মামলা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে আটক করে এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আগে যাতে আটক না করে এবং তদন্তের জন্য যেন অপেক্ষা করে- সেই জায়গায় আসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

জামিন হওয়া না হওয়ার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, সাজা যতটা হলে জামিন হবে এবং যতটা হলে জামিন হবে না-ঠিক সেই প্রিন্সিপালটা ফলো করে আমরা বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়। এমনকি এই উপমহাদেশেও। বিষয়টা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল এন্ড এরর বা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে- সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

আইনমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সাথে আমি আলাপ চালাচ্ছি। সারা বিশ্বের সাথে আমরা এটার তুলনা করছি। মিসইউজ যেগুলি ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যাণ্ড ব্যালেন্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এই আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটা থাকতে পারে-সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, ভিন্নমত যাতে না আসে, সেজন্য সরকার আইনটি করেছিল বলে তিনি মনে করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা ভয় ভীতি প্রদর্শন করে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমাদেরই কিন্তু ভয় লাগে কোন কিছু সম্পর্কে একটা কমেন্ট করতে। একটা সেলফ সেন্সরশীপ কিন্তু এসে গেছে সবার মনে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সিনিয়র মন্ত্রী ড: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে তাদের সরকার এবং দলের উচ্চ পর্যায়ে তারা আলোচনা করছেন। তবে ডিজিটাল দুনিয়ায় নানা অপরাধের প্রেক্ষাপটে আইনটির প্রয়োজন আছে বলেই তাদের দল এবং সরকার মনে করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App