মিয়ানমারে সহিংসতার নিন্দা বিশ্বজুড়ে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ১১:০৬ এএম
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভ দমনে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। সংগৃহীত।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু ক্রমেই এই আন্দোলনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে সামরিক জান্তা। গতকাল রবিবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সামরিক জান্তা হামলা চালালে ১৮ জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় জনগণের আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। আজ সোমবার (১ মার্চ) দেশজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। খবর রয়টার্সের।
রবিবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) সহিংসতা ও ১৮ নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি। নিহতদের সবাই পুলিশের ছোড়া গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন।
এদিকে, মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদিন যে পদক্ষেপ নেয়, তাকে ‘ঘৃণ্য সহিংসতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ ও সেনারা গুলি চালিয়েছেন। এসব ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে গতকাল পুলিশের স্টান গ্রেনেড, টিয়ার শেল, ফাঁকা গুলি কিছুই দমাতে পারছিল না আন্দোলনকারীদের। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে শেষ পর্যন্ত গুলি ছুঁড়তে থাকে জান্তা সরকারের সেনাসদস্য ও দাঙ্গা পুলিশ সদস্যরা। আর হতাহতের রক্তে লাল হয়ে ওঠে রাজপথ। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা।
বিক্ষোভ ঠেকাতে সকাল থেকেই পুলিশ ছিল মারমুখী। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রাজধানী নেপিদো, ইয়াঙ্গুল ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাসিও এবং দেশটির একবারের দক্ষিণের মায়েক শহরে পুলিশ ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী এই অভ্যুত্থান ঘটায়।