বরগুনার বেতাগীতে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলায় হোসনেবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির জোমাদ্দারকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাসেল মজুমদার এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হুমায়ন কবির জোমাদ্দার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান।

জানা যায়, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তৎকালীন হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান তার ইউপি চেয়ারম্যান পদটি ছেড়ে দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। এসময় আইন অনুযায়ী হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির জোমাদ্দার (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।

ওই সময়ে হোসনাবাদ ইউনিয়নের গোয়াল বাড়িসংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সম্পত্তি নিয়ে এলাকায় বিরোধ চলছিল। বিরোধীপক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হুমায়নের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের জোগসাজশে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে একটি ভুয়া অসম্পূর্ণ তথ্যসংবলিত ওয়ারিস সনদপত্র প্রদান করেন।

ফলে ওই কাগজ বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন বিরোধীপক্ষ এবং ভুয়া ওয়ারিস সনদপত্র দিয়ে জাল দলিল পর্যন্ত করেন।

কয়েক দিন পরে ভুক্তভোগী আবদুল মোতালেব ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, প্রতারণার ঘটনায় জড়িত আরও দুজনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে (৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪২০ কার্যবিধি) ধারায় বরগুনা জেলা জজকোর্টে একটি প্রতারণা মামলা করেন, যার মামলা নং-১৯৩/২০১৯।

মামলার আসামিরা হলেন– হোসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন, মো. সুলতান, তৎকালীন হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির জোমাদ্দার, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান।

রোববার এ মামলায় হাজির হতে আসা তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছেন।