×

জাতীয়

প্রসূতির মৃত্যু: ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নাসরিন আক্তার নামে এক প্রসূতির অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আগামী ২০ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলা করেন প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজ। আদালত পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই তারিখে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ১ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রাণী সরকার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার কথা সেবিকা সবুজ শংকরী রাণীকে বারবার জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তারকে ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেননি। এ সময় ভুক্তভোগীকে স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেননি। শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই তাকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের এক পর্যায়ে সবুজের স্ত্রী একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। মামলার অভিযোগে সবুজ আরো বলেন, তার স্ত্রীর মৃত্যুর পেছনে তাদের অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে পাত্তা দেয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App