দুনীর্তির দায়ে অবশেষে তিন বছরের কারাদণ্ড হলো ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্রপতি নিকোলাস সারকোজির। সোমবার (০১ মার্চ) দেশটির আদালত এ রায় দেন। সারকোজিকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হবে। সেজন্য তাকে ইলেকট্রনিক ট্যাগও দিতে হবে বলে রায় ঘোষণার সময় বলেন আদালত। খবর বিবিসির।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের ইতিহাসে এই প্রথম একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করতে যাচ্ছেন। জানা যায়, ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন সারকোজি।

রাষ্ট্রপতি থাকা কালে সারকোজির সাবেক দুই আইনজীবীকেও দেওয়া হয়েছে তিন বছরের সাজা।

সারকোজির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লিবিয়ায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঘুষ নেওয়া ও তা গোপন রাখার এবং ২০১২ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযনের কাজে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের কাজে লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে সারকোজির বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে গণ-অভ্যুত্থানে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর এই অভিযোগ উত্থাপন করেন গাদ্দাফির পুত্র সাইফুল ইসলাম গাদ্দাফি।

সম্প্রতি বিচারককে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে আদালতের রায়কে নিজের অনুকূলে আনার প্রচেষ্টার দায়েও অভিযুক্ত হন তিনি।