×

রাজধানী

আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, ন্যায়বিচার পাইনি: সামিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:৩১ পিএম

আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, ন্যায়বিচার পাইনি: সামিয়া

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সামিয়া রহমান। ছবি: সংগৃহীত।

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির ঘটনায় শাস্তি হিসেবে পদাবনতি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। গবেষণায় নকল করিনি।

সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ এবং আইনজীবী তুরিন আফরোজ।

সামিয়া বলেন, ক্ষমতার বলে যে যার মতো তথ্য দিচ্ছে। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।

তিনি বলেন, যে গবেষণার লেখার জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটা তিনি লেখেননি, জমাও দেননি। এ–সংক্রান্ত প্রমাণও তাঁর কাছে আছে। এই ‘ষড়যন্ত্রের’ পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কেউ এবং কিছু শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেন সামিয়া রহমান। তবে তাঁদের নাম না বলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে তা বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জন্য জার্নালের রিভিউয়ার ও বোর্ডের শাস্তির সুপারিশ ছিল। তিনি বলেন, ‘তাঁদের শাস্তি হয় না, কারণ তাঁরা প্রতিষ্ঠিত বলে বিশ্ববিদ্যালয় তা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়, আর বলির পাঁঠা হই আমি। প্রতিহিংসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাজনীতির নোংরামির চরম শিকার হলাম আমি।’ শিকাগো জার্নালের যে ব্যক্তির ই-মেইলের কথা বলা হয়েছে, সেটি ভুয়া বলে দাবি করেন সামিয়া রহমান।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির শাস্তি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App