×

সারাদেশ

আমতলীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ০৫:৫৩ পিএম

আমতলীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

বরগুনার আমতলীতে আওমী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা পণ্ড হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সোমবার (১ মার্চ) সকাল ১০ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভার ধার্য দিন ছিল। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানের আহবানে সমন্বয় সভায় পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ যথা সময়ে উপস্থিত হলে গোলাম সরোয়ার ফোরকান বেশকিছু মোটর বহর সহকারে পরিষদ চত্বরে উপস্থিত হন। এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের সমর্থক নিয়ে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উভয় পক্ষের ১০টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ১৫ জন আহত হয়।

২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল ঋণ খেলাপীর দায়ে চেয়ারম্যানের পদ থেকে গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু বরগুনা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুকে আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ প্রদান করেছেন। ফোরকান উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতে আবেদন করলে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের আদেশের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত বছরের ১৭ আগস্ট উপজেলা চেয়ারম্যান ফোকরানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রদান করে উপজেলা পরিষদের ১২ সদস্য।

সোমবার (১ মার্চ) উক্ত মাসিক সমন্বয় সভা আহবান করলে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপ সভা স্থলে গেলে উভয় পক্ষের অনুসারিদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কোরাম সংকটের কারণে অনেক দিন যাবৎ সমন্বয় সভা হচ্ছে না। গত ১৮ তারিখ এ সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। সংর্ঘষের কারণে আজও সভা পণ্ড হয়ে গেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আমতলী শান্তিপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনার এলাকা। এখানে ফোরকানের ভাই পটুয়াখালী জেলা যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদলের ক্যাডার বাহিনী আমতলীতে এসে এ তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইট নিক্ষেপ, পৌরসভার গাড়ী ভাংচুর ও আমার ৬জন কর্মীকে আহত করেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন সভা ডাকিনি। আমাকে অহেতুক হয়রানী করার উদ্দেশে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পৌর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App