বিএনপির মাসব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘উই রিভোল্ট’ এর মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩ টায় গুলশানে হোটেল লেকশোরে জমকালো আয়োজনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে কোরআন তেলোয়াত করেন ক্বারী মো. নেসারুল হক। এরপরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির মাহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসুন ৫০ বছর পরে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন করে স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করি। আপনারা জানেন এই সরকার সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা জানে না ইচ্ছা করলে এ খেতাব বাতিল করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ৩ বার কারাভোগ করেছেন। এই সরকারের আমলে অসংখ্য নেতা-কর্মীও কারাগারে। পিন্টুর মতো অনেকে কারাগারে মৃত্যুবরণ ও করেছেন।
ফখরুল বলেন, এদেশে কোন সংবিধান নাই। ভোটার অধিকার নাই, ভোটারবিহীন নির্বাচন চলে। ভোট ডাকাতি করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের আমলে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে চাই। প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা করতে চাই। দেশের প্রতিটি মানুষকে আমরা মূল্যায় করতে চাই।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, মেজর হাফিজ উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশল ইশরাক হোসেন, খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান প্রমূখ।
এছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় দলের সৈয়দ নুরুল হুদা, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম সহ নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।