×

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার টেররিজম

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:০৮ এএম

সাইবার টেররিজম
সময়ের প্রয়োজনেই বাড়ছে আমাদের প্রযুক্তিনির্ভরতা। আর যখনই কোনো কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস কোনো একটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তখনই সেটা হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বলা বাহুল্য তাই বাড়ছে সাইবার সন্ত্রাসীদের সনাক্তের জটিলতাও। ফলে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা প্রবল। এ কারণেই সাইবার টেররিজম এখন জনসাধারণেরও জ্ঞাত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সহজ ভাষায় সাইবার টেররিজম হল হুমকি বা ভয় দেখানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক বা আদর্শিক লাভ অর্জনের জন্য হিংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা বা হুমকি দেয়া। যেখানে প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য শারীরিক ক্ষতি করার জন্য প্রধান অস্ত্রই হলো ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহার। ইতিমধ্যে এ রকম অনেক ঘটনাই ঘটেছে। তবে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালের ২৭ এপ্রিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকাকালীন একজন সৈনিকের সমাধিসৌধ সরিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এস্তোনিয়ার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই সূত্র ধরে ২০০৭ সালে রাশিয়া সাইবার আক্রমণ শুরু করে। এতে এস্তোনিয়ার ব্যাংক, পার্লামেন্টের সার্ভারসহ সরকারি সব ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম, পুলিশ এমনকি জাতীয় জরুরি টেলিফোন পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। কিছু প্রচলিত তথ্য কম্পিউটারের বাইরে তথ্য হ্যাক করা লোকেরা হ্যাকার হিসাবে পরিচিত। হ্যাকারদের দল আছে। এর মধ্যে বৈধ ও অবৈধ হ্যাকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অবৈধ হ্যাকারদের মধ্যে Black Hat হ্যাকার অন্তর্ভুক্ত; বৈধ হ্যাকাররা White Hat হ্যাকার হিসাবে পরিচিত এবং এই White Hat হ্যাকারদের কাজ হল Black Hat হ্যাকারদের সন্ধান করা। আজকের দিনে হ্যাকিং প্রক্রিয়া প্রযুক্তির বিকাশের সাথে অনেক বেশি প্রসার লাভ করেছে। এখন, হ্যাকিংও প্রতিশোধ নেয়ার একটি উপায়। হ্যাকিং শেখা আইনী তবে আপনি কোনও ব্যক্তি / দেশের সার্ভার হ্যাক করতে পারবেন না। এটাই Black Hat হ্যাকারদের কাজ। আমরা আরও একটি হ্যাকারদের দল খুঁজে পাই যারা Gray হ্যাকার হিসাবে পরিচিত। এই Gray হ্যাকারগুলির কাজ হল White Hat হ্যাকারদের পক্ষে কাজ করা, কোনও সিস্টেমের দুর্বলতাগুলি দেখা। এই কাজটি করার পরে তারা সিস্টেমের মালিকের কাছ থেকে কমিশন চায়। মালিক যদি কমিশন দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি না জানায় তবে Gray হ্যাকাররা সিস্টেমটি হ্যাক করবে এবং এটি বিশ্বকে প্রদর্শন করবে,যা Black Hat হ্যাকাররা করে। Gray হ্যাকাররা হ্যাকিং সিস্টেমে White এবং Black Hat হ্যাকারদের মাঝামাঝি। Gray হ্যাকারদের কমিশন দেওয়া ভাল। অন্যথায় আপনার সার্ভার হ্যাক হয়ে থাকলে আপনি থানায় রিপোর্ট করতে পারেন। “Ralph Breaks The Internet” ছবিতে একটি ভাইরাস ছিল যা পুরো ইন্টারনেটকে অস্থিতিশীল করে তোলে। সারা বিশ্বে একটিও সার্ভার কাজ কাজ করছিল না। হ্যাকারদের বিন্দুতে এটি কেবলমাত্র একটি একক সার্ভারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এটি এমন নয় যে এটি কোনও দেশের সার্ভার আক্রমণ করে না, তবে এটি বিরল। আমরা এটি ২০০৭ সালে এস্তোনিয়াতে দেখেছি। এস্তোনিয়া, একটি বাল্টিক দেশ যা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রমাগতভাবে বিকশিত হচ্ছে। ২০০৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, একটি জাতিগত রাশিয়ান-এস্তোনিয়ান নাগরিককে অপরাধ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে । এস্তোনিয়া সরকার ক্রেমলিনকে দোষারোপ করেছিল, অভিযোগ করেছিল যে তারা সরাসরি এই হামলায় জড়িত ছিল। পরে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাক আভিকসু বলেছিলেন যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই। নাশি-কনস্ট্যান্টিন গোলোস্কোভের একজন কমিশনার এস্তোনিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করার কথা স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেক এস্তোনিয়া থাকবে, তবে আমাদের সেই সংখ্যাটি ছোট করা দরকার। মনে রাখতে হবে, ভবিষ্যতের যুদ্ধ ময়দান থেকে কম্পিউটারে সীমাবদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। তখন এক একটি কম্পিউটারই হবে এক একটি দূর্গ। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কম্পিউটার নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কতা নেয়া হলে এসব আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এসএফএক্স গ্রিনহেরাল্ড আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় ( ক্লাস ৬ ) সূত্র: উইকিপিডিয়া, গুগল

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App