×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট দূর হোক

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৯ এএম

শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট দূর হোক
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার কথা বলেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আগামী ১৭ মে আবাসিক হল খুলে দিয়ে ২৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা বলেছেন। তার এ ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও কিছু ক্ষেত্রে সংকটও সৃষ্টি হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন কিংবা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে ‘সীমিত পরিসরে’ চ‚ড়ান্ত পর্বের স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষাগুলোর মাঝপথে সব পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এ সংকট তীব্র হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাওয়ার সংবাদে একদিকে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য থাকলেও অন্যদিকে বিশৃঙ্খল পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশেই এর প্রভাব পড়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৭ কলেজের পরীক্ষা গ্রহণ একবার স্থগিত এবং এই স্থগিতের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নেমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তও বিশৃঙ্খলাকে খানিকটা বাড়িয়ে তুলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশিমাত্রায় ফাঁপরে ফেলে দিয়েছে! দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দুই সহস্রাধিক কলেজের শিক্ষার্থীরাই মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী। এদের অনেকেরই আবার ‘অধিকাংশ পরীক্ষা’ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কোনো কোনো শিক্ষাবর্ষের একটি বা দুটি মাত্র পরীক্ষা বাকি এবং কারো বা শুধু মৌখিক পরীক্ষা বাকি ছিল। এরূপ পরিস্থিতির মধ্যে ২৪ মে পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখতে পাচ্ছি। কোথাও কোথাও এই প্রতিক্রিয়া মৃদু সহিংসতায়ও রূপ নিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর দেশব্যাপী বিস্তৃত তাই এর শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়াও বড় আকারে দৃশ্যমান। অন্যদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চলমান বা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলো হঠাৎ স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। তারা দাবি করছেন, তাদের জন্য আবাসিক হল খোলার দরকার নেই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোনোরকমে অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো শেষ করে দেয়া হোক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আকারে ছোট, কিন্তু পরীক্ষা দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আবেগ ছোট নয়Ñ সবার মতোই। যা হোক, এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সব পক্ষকেই কিছুটা ভেবে নেয়া প্রয়োজন ছিল। ‘সেশনজট’ নিরসনের উদ্যোগ হলেও কেউ পরীক্ষা দিতে পারবেন আবার কেউ পারবেন না তা মেনে নেয়া তরুণ শিক্ষার্র্র্থীদের পক্ষে তো বটেই, ক্ষেত্রবিশেষে অভিভাবকদের পক্ষেও কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রীতিমতো প্রস্তুতও হয়ে আছে। বাকি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের। সে ঘোষণাটিও শুনলাম। কিন্তু এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সর্বত্রই ‘পরীক্ষা’ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে আমাদের ভেতরকার প্রাণচাঞ্চল্য বাধার মুখে পড়ে কিছুটা হলেও যেন বিপন্ন বোধ করছে! আমরা জানি, সরকারের সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি আছে। এই যুক্তির পেছনে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও আছে। দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য কোনো আবাসিক ব্যবস্থা নেই। ফলে সেখানে কর্তৃপক্ষ এক ধরনের সুবিধা ভোগ করে। আবার প্রথাগত বিশ্বাস এই যে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তুলনামূলকভাবে উচ্চবিত্তের বিশ্ববিদ্যালয়। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার উল্টো, অর্থাৎ এসবের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আবাসিক হলগুলোয় সব শিক্ষার্থীই যে নির্দিষ্ট একটি বিছানায় থাকার সুযোগ পান তাও নয়। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘গণরুম সংস্কৃতি’ বলে একটি করুণ ও তুচ্ছার্থেই ‘পাবলিক’ ব্যবস্থাপনা বিদ্যমান! কাজেই করোনার এই অতিমারির কালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেয়ার ঝুঁকি সামাল দেয়া চ্যালেঞ্জের বিষয়। ‘সব অফিস-আদালত খুলে দেয়া কিংবা মেট্রোরেলের কাজ চলমান রাখা’র সঙ্গে আবাসিক হল খুলে দেয়ার তুলনা কোনোক্রমেই যথার্থ নয়। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো খোলার সরকারি যুক্তির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়। ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সরকারি আগ্রহ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন অ্যাপসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমকর্তা-কর্মচারীদের অপশন চালু হয়েছে। আশা করব অতি দ্রুত সেই অ্যাপসে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি যুক্ত হবে এবং নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ১৭ মে ২০২১ সালের মধ্যে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পন্ন হবে। শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর মধ্য দিয়ে বিগত বছরটিতে করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে ক্রমে তা পুষিয়ে নেয়ায় সব পক্ষের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার পরও কোভিড-১৯ বিষয়ক সচেতনতা বোধ সবার মধ্যে সক্রিয় রাখতে হবে। যেন কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে, কেউ কোনো ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন। শিক্ষার্থীদের বয়স কম, আবেগ বেশি। নানাভাবে তাদের মনে আবেগের বিষয়টিই প্রাধান্য পায়। এটিই তারুণ্যের ধর্মই। কিন্তু চলমান মহামারি কিংবা মহামারি-উত্তর সময়ে কেবল আবেগকে প্রশ্রয় দিলে চলবে না। বিজ্ঞানমনস্কতার সঙ্গেই সবাইকে চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতাও জরুরি। শিক্ষার্থীদের বোঝানোর দায়দায়িত্ব অভিভাবকদেরও নিতে হবে। সবাইকেই মনে রাখতে হবে, কোনো পরীক্ষাই কখনো জীবনের চেয়ে বড় নয়। আগে জীবনকে নিরাপদ করতে হবে, তারপর অন্যসব। অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের আরো মনে রাখতে হবে যে, একটি বছর জীবন থেকে যে নষ্ট হয়ে গেছে তা কেবল কারোরই একার জীবন থেকে নষ্ট হয়নি। বিশ্বব্যাপী সবার জীবনে যখন একই ঘটনার ছায়াপাত ঘটে তখন ‘নির্বিশেষ’ কোনো বিষয়কে ব্যক্তিক এবং ‘বিশেষ’ করে ভাবাও যথার্থ নয়। চারদিকে তাকালেই উপলব্ধি হবে, করোনা মহামারি সবাইকে একই অভিজ্ঞতায় জর্জরিত ও বিপর্যস্ত করেছে। এমন তো হয়নি যে, একজনকে পেছনে ফেলে অন্যজন এগিয়ে গেছেন! সবাই যখন একই রকম ক্ষতির সম্মুখীন সুতরাং তার জন্য আফসোস হলেও বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার বিকল্প নেই। আর করোনা তো এমন একটি ঘটনা, যার ওপর কারো কোনো হাত নেই! কেবল নির্দিষ্ট কারো জীবনকেই করোনা একটি বছর নষ্ট করে গেছে এরূপ কথাও তো ঠিক নয়। মনে রাখা দরকার, বিগত এক বছরে আমাদের চেয়েও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী আছে, তারা আমাদেরই সমাজভুক্ত। একজন অভিভাবক হিসেবে আমিও মনে করি, যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার প্রস্তুতি গ্রহণই সর্বোত্তম পন্থা। যে ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে তার জন্য আক্ষেপ না করে আমরা যে বেঁচে আছি, সুস্থ আছি সে জন্য স্রষ্টার কাছে বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশই উত্তম। ইত্যবসরে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের অক্লান্ত শ্রম ও সাধনায় মাত্র এক বছরের মধ্যেই দেশে দেশে করোনাজয়ী ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে, আরো হচ্ছে। মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুটি সহিংসতাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য ও সংহতি গড়ে ওঠে। সেই সংহতিবোধ থেকেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ঢুকে পড়েন, সামনে নিয়ে আসেন ‘নিরাপত্তা’র ইস্যু। মিছিলসহ দলবেঁধে তালা ভেঙে আবাসিক হলে ঢোকার চিত্র অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেছে। মুহূর্তেই সারাদেশে সে প্রেরণা সঞ্চারিত হয়েছে। তাই একদিন পরই আমরা ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় অনুরূপ ঘটনার চিত্র দেখতে পাই। করোনার কারণে দীর্ঘদিন হলে থাকতে না পারার বেদনাবোধ শিক্ষার্থীদের ক্রমে সংক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। বরিশাল ও জাহাঙ্গীরনগরের উত্তপ্ত ঘটনায় সেই সংক্ষুব্ধতাকে এক প্রকার বিদ্রোহে পরিণত করে তোলে। তাই ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও একই আবেগ দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্রোহের আগুন যেন সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করতে পারে সেজন্য শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার দিনক্ষণ জানিয়ে দেন। শিক্ষামন্ত্রীর এই উদ্যোগটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে সন্দেহ নেই। সরকার বা সরকার-সংশ্লিষ্টদের ভুলে গেলে চলবে না যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এবং তার মিত্রশক্তি আন্দোলনের ইস্যু খুঁজতেই সর্বদা তৎপর। সরকারের দীর্ঘদিনের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চক্রান্তেও বিভিন্ন গোষ্ঠী তৎপর আছে। কাজেই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রপশ্চাৎ ও ফলাফল নিয়েও ভাবতে হবে। এই গোষ্ঠী করোনার মহামারিকালে নানা অজুহাত সৃষ্টি করেও সরকারের ব্যর্থতা জনসম্মুখে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ভ্যাকসিন নিয়েও তাদের সর্বশেষ প্রয়াস-প্রচেষ্টা ‘হালে পানি’ পায়নি। এর আগেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্দোলনে নানা রকমে তারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক জটিলতাকে অবলম্বন করেও তারা সুযোগ খুঁজবে। তাই সব বিষয়ে সরকারের সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ থেকে ‘অফিস-আদালত’ কিংবা ‘মেট্রোরেল’ প্রকল্পের চলমানতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তখন এসব আন্দোলনের পশ্চাৎ-কারিগরদের সম্পর্কে অনুমান আর কঠিন থাকে না। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্রিয়তায় সহজেই সেই দুষ্টচক্রের মুখোশ উন্মোচন হবে বলেও আশা করি। নির্দিষ্ট সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলুক, শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠুক সব ক্যাম্পাস। করোনাকে পরাস্ত করে মানুষের জয় নিশ্চিত হোক। আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App