×

সারাদেশ

মাদকাসক্ত মেয়ের হাতে মা খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৭ পিএম

মাদকাসক্ত মেয়ের হাতে মা খুন

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় কাঁচি দিয়ে আপন মাকে খুন করল মেয়ে পাপিয়া। ছবি: ভোরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামে মাদকাসক্ত মেয়েকে মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় কাঁচি দিয়ে আপন মাকে খুন করল মেয়ে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিক উপজেলার আইয়ুব পুর ইউনিয়নের দশানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম (৫০) এর কাছে তার বড় মেয়ে পাপিয়া (২৭) মাদক সেবনের জন্য টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে পাপিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরে তাকে ঘটনা স্থল থেকেই প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে দশানী বাজারে বাবুল মিয়ার ফার্মেসিতে নেওয়া হয়।

পরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে পাপিয়া বেগমকে (২৭) আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম দশানী গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে। তার বিয়ে হয় আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাবুল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। তাদের দুই মেয়ে পাপিয়া ও পপি। বড় মেয়ে পাপিয়া বেগম (২৭) প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই বছর আগে আইয়ুবপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। কিন্তু ইসহাক মিয়ার পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তিনিও পাপিয়ার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পাপিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকতো পাপিয়ার। তার স্বামী ইসহাকও মাদকাসক্ত।

নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি বলেন, সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আম্মুর চিৎকারে গুম থেকে উঠে দেখি পাপিয়া মার পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ সময় আমরা মাকে বাবুল ডাক্তারের দোকানে নিয়ে যাই। সেখানে ব্যান্ডেজ করে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার অবস্থা খারাপ দেখে পরে আবার বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মা মারা যায়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা আতাউল করিম জানান, রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তিনি আগেই মারা গেছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, মেয়ের কেচির আঘাতে মা মারা-যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ঘাতক পাপিয়াকে আটক করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এই পরিবারের অনেকেই মাদকসেবন করেন বলে শুনেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App