×

জাতীয়

এশিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৪৩ পিএম

এশিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে এআরআইয়ের গবেষকরা জানান, এ তালিকায় সবচেয়ে নিচে আছে ভুটান। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪টি। এর ধারে কাছেও নেই এশিয়ার অন্য দেশগুলো। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।

গবেষণাপত্রের ভাষ্যমতে, দেশের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ৭৪ শতাংশই মফস্বলে ঘটে। এর বড় কারণ হলো- সেখানে ট্রাফিক তদারকি কম। এছাড়া মফস্বলের যাত্রীরা মহাসড়কে বেশি যাতায়াত করেন বলেও দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। মফস্বলের ৭৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার ৬৯ শতাংশই মহাসড়কে ঘটে। মফস্বলের বিপরীতে নগর-মহানগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরিমাণ ৩১ শতাংশ।

১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এআরআই ‘আ রিভিউ অব মোটরসাইকেল সেফটি সিচুয়েশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। বয়স বিবেচনায় ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি মারা গেছেন। তবে ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হারও উদ্বেগজনক। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মোট মৃত্যুর ৫৬ শতাংশই ওই বয়সের এবং ৯৬ শতাংশই পুরুষ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

সপ্তাহের কী বার এবং দিনের কোন সময় বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে, এ ব্যাপারেও এআরআইয়ের গবেষকরা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে শনিবার সবচেয়ে বেশি এবং রোববার সবচেয়ে কম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।

পরিসংখানে দেখা গেছে, শনিবার ১৬ শতাংশ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ১৫ শতাংশ, সোম ও বুধবার ১৪ শতাংশ, মঙ্গলবার ১৩ শতাংশ এবং রোববার ১২ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। সময় বিবেচনায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। এক্ষেত্রে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে (সকাল ১০-১১টা) এবং বাড়ি ফেরার পথে (বিকাল ৪-৫টা) বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ হেলমেট না পরার কারণে এবং ১২ শতাংশ ত্রুটিযুক্ত হেলমেট পরার কারণে মারা গেছেন।

অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেল হঠাৎ করেই ব্রেক করা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে রাস্তা পিচ্ছিল থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি কমন কারণ হলো সড়কের বাঁক।

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত গতির কারণে ৫১ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়। অমনোযোগী অবস্থায় চালাতে গিয়ে ৪০ শতাংশ এবং মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪৯ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App