আইসোলেশনে মিরাজের কঠিন অভিজ্ঞতা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:২৬ পিএম
হোটেলের বাহিরে বের হয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন টাইগাররা
করোনাকালে দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম বিদেশ সফরে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে এখন নিউজিল্যান্ড আছেন টাইগাররা। তবে করোনার কারণে ক্রাইস্টচার্চে কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হচ্ছে তামিম-মুশফিকদের। সেখানে হোটেলে আইসোলেশনে মেহেদী হাসান মিরাজের কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজ (রবিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ভিডিওবার্তায় মিরাজ জানিয়েছেন হোটেলে বন্দি থাকা সময়ের অভিজ্ঞতা। তিনদিন রুমে বন্দি থাকার সময়টা তার কাছে জেলখানায় থাকার মতো মনে হয়েছে।
এর আগে প্রথম দুইদিন পুরোপুরি হোটেল বন্দি ছিলেন তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকারা। গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো আধঘন্টা হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন সবাই। তবে মিরাজ সেদিন বের হননি। তিনদিন নিজের রুমে থেকে প্রথমবার বের হয়েছেন শনিবার ২৭ (ফেব্রুয়ারি)।
তিনদিন ঘরে থাকার পর প্রথম যখন বের হন, তখন মাথা ঘোরাচ্ছিল তার। তবে বাইরে হাঁটা চলা করে ঘরে ফেরার পর ফের সতেজ হয়ে যান এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। এ বিষয়ে বিসিবির ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধা ঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। আমি প্রথম যেদিন বেরিয়েছিলাম (শনিবার), শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গেছে। তিনদিন ঘরের ভেতর যে বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে, জেলখানায় আছি।
যখন বাইরে বের হলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলাম, তখন ভালো লেগেছে। পরে যখন রুমে ফিরে গেছি, তখন নিজেকে একটু ফ্রেশ মনে হয়েছে। সারাদিন রুমে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। তিন-চারদিন রুমে কাটানো, একইভাবে এটা আসলে একটু আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে।
হোটেল রুমে বন্দি থাকার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এই প্রথম হোটেলের ভেতর দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে, সময় কাটছিল না। তবে যাই হোক এই কঠিন চ্যালেঞ্জ আমরা উতরে যাবো। ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে। জিমের ফ্যাসিলিটিজ বা আমরা যদি কিছু ওয়ার্ক করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু সুযোগটা নেই, দুই-তিনদিন পর স্টার্ট হবে... আশা করি তখন ইনশাআল্লাহ্ ভালো হবে।