কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আটক সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাতজনকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুব আলম।

ছয় মাসের বেশি সময় আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় বুধবার মুশতাক আহমেদ মারা যান। এর প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বামধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে শাহবাগে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।

এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় তাদের ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোস্ট বন্ধ করে পুলিশ লাঠিপেটা করে। অপরদিকে আন্দোলনকারীদের ‘হামলায়’ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার পরিদর্শক মাহবুব শনিবার বলেন, তাদের মশালের আগুনে একজন কনস্টেবলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে মশালের লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধরও করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের অন্তত ১৫ জন সদস্য আহত হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- আমজিন হায়দার (২২), নজিব আমিন চৌধুরী (২৭), তানজিমুর রহমান (২২), আকিব আহমেদ (২২), আরাফাত (২৬), নাজিফা জান্নাত (২৪) ও জয়তী চক্রবর্তী (২৩)।