আবারও জেগে উঠছে পানির নিচের ভূতুড়ে গ্রাম
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৬ পিএম
বছরের পর বছর পানির নিচে রয়েছে গ্রামটি। পাওয়া গেছে ১৩০০ শতকের নিদর্শন
ঝিলের পানি তুলে ফেললে ভেতরে ঢুকে ঘুরে দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা
বছরের পর বছর পানির নিচে রয়েছে একটি গ্রাম। ভুতুড়ে গ্রাম হিসেবেই পরিচিত। তবে হঠাৎ দেখা যায় গ্রামটিকে। পানির ওপর উঠে আসায় সবশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৯৪ সালে। শুনতে অবাক করার মতো গল্প হলেও ঘটনা সত্য।
ইতালিতে অবস্থিত গ্রামটির নাম “ফ্যাব্রিশ ডি ক্যারিন” । টাস্কানি প্রদেশের ‘লুক্কা’ নামের অঞ্চলে অবস্থিত এই গ্রামটি ১৯৫৮, ১৯৭৪, ১৯৮৩ ও ১৯৯৪ মোট এই চারবারই দেখতে পেয়েছে মানুষ।
বলা হয়, এই গ্রামটি তৈরি হয়েছিল ১৩০০ শতকে। এই গ্রামে লোহার উৎপাদন হত বলে এখানে বেশিরভাগই থাকত কামার সম্প্রদায়ের পরিবার। অনেকেই বলে থাকেন, এই গ্রামে অতৃপ্ত আত্মা আর অশরীরীদের বসবাস ছিল বলেই একটি ঝিল তৈরি করে গ্রামটিকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন। সবসময়ই ৩৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জলের নীচে ডুবে থাকে গ্রামটি।
[caption id="attachment_267875" align="alignnone" width="994"] ঝিলের পানি তুলে ফেললে ভেতরে ঢুকে ঘুরে দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা[/caption]২০২০ সালে আবারও গ্রামটি উঠে এসেছিলো জলের উপরে। অনেকের অনুমান, এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে পর্যটকরা আবার এই মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক ও অদ্ভুত গ্রামটিকে দেখতে যেতে পারবেন। ২৬ বছর পর নাকি ফের ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এই ঝিলের পানি। ঝিলের পানি খালি করছে একটি সংস্থা, যাতে ভেতরের দিকটা কিছুটা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা যেতে পারে। ২০২১ সালেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানায় সেই সংস্থা।
১৯৪৭ সালে গ্রামের ওপর একটি বাঁধ তৈরি করেছিল ইনেল কোম্পানি। গ্রামটি পানির নীচ থেকে উঠে এলে সেখানে ১৩০০ শতকের পাথরের তৈরি ইমারত দেখতে পাওয়া যায়। এই গ্রামটিতে এখনো চার্চ, কবরস্থান এবং পাথরের তৈরি অনেক বাড়ি রয়েছে। জল একদম কম হয়ে যাওয়ার পর মানুষ এই গ্রামের ভেতরেও ঢুকে পুরো ঘুরে দেখতে পারবেন। ১৯৯৪ সালে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখতে পেয়েছিলো গ্রামটিকে। তবে এর রহস্য এখনো মীমাংসিত হয়নি।