×

মুক্তচিন্তা

ভারতের আকাশ-ফাঁদে পাকিস্তানের ভরাডুবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪৮ পিএম

১৯৭০-এর ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অর্ধেক আসন পেলেও পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবিভর্‚ত হয় পাকিস্তান পিপলস পার্টি। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭১ এই দলের প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করছেন। নির্বাচনে ভ‚মিধস বিজয় অর্জন করা দলের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তিন দিনের বৈঠক কেবল শেষ করেছেন। তাকে শিগগির ফিরে যেতে হবে। তার ষড়যন্ত্রের অনেকটা এখনো প্রণয়নের বাকি! দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা তাকে বৈঠকের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমাদের সমস্যার সুরাহা হয়নি; আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে; আলোচনায় কোনো অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়নি। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে ফেব্রæয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখনই প্রয়োজন হবে আমি পূর্ব পাকিস্তানে এসে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করব। এরপর তিনিই সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করলেন : ২৩ বছরের সমস্যা ৩ দিনেই মিটে যাবে বলে কেমন করে আশা করেন? ভুট্টো ভালো করেই জানতেন যে, তিনি একমত হতে আসেননি। তার পেছনে রাজনৈতিক শক্তির চেয়ে বড় শক্তির সমর্থন রয়েছে আর তা হচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক-আমলাতান্ত্রিক অলিগার্কির শক্তি। তিনি যোগ দেয়াতে এটা হয়ে উঠেছে সামরিক-আমলাতান্ত্রিক-রাজনৈতিক অলিগার্কি। এই অলিগার্কির মুখপাত্র হিসেবেই তার আগমন। বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে তথা বাঙালিদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে তিনি যখন ষড়যন্ত্রের ছক কষছেন, তিনি জানেন না যে তারচেয়ে ঠিক দশ বছরের বড়, ইংরেজি সাহিত্য পড়া পুলিশে চাকরি করা এক কাশ্মিরি পণ্ডিত তার জন্য এবং পাকিস্তানের সামরিক শাসকের জন্য পেতে রেখেছেন ছোট একটি আকাশ-ফাঁদ, যে ফাঁদে একবার গলা বাড়িয়ে দিলে পরাজয় এড়ানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে। সেই কাশ্মিরি পণ্ডিতেরতের নাম রমেশ^র নাথ কাওÑ আর এন কাও। মাত্র দেড় বছর আগে ১৯৬৮ সালে নবসৃষ্ট ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’Ñ রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস উইং-এর দায়িত্ব নিয়েছেন। উড়োজাহাজের সঙ্গে তার সম্পর্কটি বেশ পুরনো। ১৯৫৫ সালের ১১ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কাশ্মির প্রিন্সেস’ (লকহিড কনস্টেলেশন) হংকং থেকে বান্দুং সম্মেলনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাকার্তা যাওয়ার পথে মধ্য আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে যায়। ক্যাপ্টেনসহ ষোলো জন যাত্রী ও ক্রু আকাশেই নিহত হন, তিনজন বেঁচে যান। এই জাহাজে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই-র বান্দুং যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি যাত্রা বাতিল করে ভিন্ন রুটে বান্দুং পৌঁছেন। তিনিই ছিলেন টার্গেট। উড়োজাহাজে টাইম বোমা পাতা হয়েছিল। কাশ্মিরি প্রিন্সেস বিস্ফোরণ তদন্তে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার একজন হিসেবে কাজ করেছেন আর এন কাও। এ ঘটনার পেছনে সিআইএ বা কুনমিংটান ছিল বলে মনে করা হয়। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭১-এর গঙ্গা হাইজাক নাটকটিও কাশ্মিরি পÐিতের রচনা ও প্রযোজনা বলে মনে করার কারণ রয়েছে। ‘গঙ্গা’ ফকার এফ ২৭ ফ্রেন্ডশিপ উড়োজাহাজ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে পুরনো উড়োজাহাজগুলোর একটি। এটিকে এক সময় উড্ডয়ন থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফিরিয়ে আনার পর এটাই প্রথম ফ্লাইট। শ্রীনগর থেকে জম্মু যাবে। ২৬ জন যাত্রী নিয়ে ৩০ জানুয়ারি ১৯৭১ শ্রীনগর থেকে টেক-অফ করল। সবাইকে অবাক করে এক তরুণ যাত্রী পিস্তল হাতে ছুটে গিয়ে ককপিটের দরজায় লাথি মারল, পেছনে গ্রেনেড হাতে অন্য একজন চেঁচিয়ে উঠল, কেউ নড়াচড়া করবেন না। সিনিয়র ক্যাপ্টেন কাচরু জানেন এমন পরিস্থিতিতে হাইজাকারকে অমান্য করা বা তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করার অর্থ যাত্রীসহ আকাশেই বিস্ফোরণ। ক্যাপ্টেন কাচরু এবং ক্যাপ্টেন ওবেরয় হাইজাকারদের নির্দেশ মেনে লাহোর এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলেন। এমনিতে এ ধরনের সংবেদনশীল ঘটনা অল্প সময়ের মধ্যে বিশ^ সংবাদ হয়ে যায়, তার ওপর ভারতও এই সংবাদটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমকে বেশ কাজে লাগায়। হাইজাকাররা যাত্রীদের জিম্মি করে রাখেনি, জিম্মি কেবল উড়োজাহাজ। ভারত সরকারের কাছে তাদের দাবি, কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (এনএলএফ) ৩৬ জন বন্দি নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। পাকিস্তান সরকার যাত্রীদের খোশ আমদেদ জানিয়ে বেশ আদর-আপ্যায়ন করল। ১ ফেব্রæয়ারি ঢাকা থেকে লাহোর এয়ারপোর্ট পৌঁছে ভুট্টো সাহেব ঘটনা শুনলেন এবং দেখলেন; সানন্দে যাত্রীদের সঙ্গে গল্পগুজব করলেন এবং সম্ভবত হাইজাকারদের আলিঙ্গনও করলেন। তিনি যে তাদের দেশপ্রেমের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন তা পরের দিনের পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছে। হাইজাকারদের একজন হাশিম কুরেশি, অন্যজন আশরাফ কুরেশি। ভারত সরকার হাইজাকারদের দাবি প্রত্যাখ্যান করল। ২ ফেব্রæয়ারি আপাতদৃষ্টিতে একজন পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেই হাসিম কুরেশি ‘গঙ্গা’-তে আগুন ধরিয়ে দিল। আগুন, বিস্ফোরক, জেট ফুয়েল সবমিলিয়ে দীর্ঘক্ষণ দেখার মতো একটি ঘটনা ঘটে গেল। জুলফিকার আলী ভুট্টো ভারতের আকাশের ওপর দিয়ে লাহোরে এসে নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি অনুধাবন করতে পারেননি যে এ ঘটনাটির পরপরই ভারতের আকাশ পাকিস্তানিদের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স বা পাকিস্তান এয়ারফোর্সের কোনো আকাশযান ভারতের আকাশে দেখা গেলেই এন্টি এয়ারক্রাফট কামান সক্রিয় হয়ে উঠবে, ভারতীয় মিগ ২১ ছুটবে পেছনে। হাইজাকারদের পাকিস্তানে প্রাথমিকভাবে জামাই আদর, ভুট্টোর বালখিল্যতা, অপরিপক্কতা এটাই প্রমাণ করে যে, এই হাইজাকের পেছনে পাকিস্তান রয়েছে। হাশিম ও আশরাফ দুজনই মুসলমান। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতারা পাকিস্তানে আশ্রিত এবং পাকিস্তানের সহযোগিতাও পেয়ে থাকেন। হাশিম ও আশরাফ ৩৬ জন কারাবাসী লিবারেশন ফ্রন্ট সদস্যের মুক্তির জন্য হাইজাক করেছে। সবই মিলে যায়। পরদিনই পাকিস্তানের উচ্ছ¡াস কিছুটা কমে যায়। ভারত তার আকাশ সীমানায় কোনো পাকিস্তানি উড়োজাহাজ ঢুকতে দেবে না। আর অনুমতি ছাড়া কোনো দেশের ওপর দিয়েই যাওয়া যায় নাÑ ওভারফ্লাই পারমিশন লাগে, এমনকি আকাশে উড়ার পরও জানাতে হয়। ভুট্টোর সামরিক দোসরদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ব পাকিস্তানে উড়োজাহাজ ভরে ভরে সৈন্য পাঠাবেন। বিদ্রোহী হয়ে উঠার উপযুক্ত শিক্ষা বাঙালিদের দেবেন। কিন্তু ভারতীয় আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা ঘুরে আসা-যাওয়া পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাধ্য অভিযান হয়ে দাঁড়াল। এমনিতে হাজার মাইল দূরের প্রদেশ তার ওপর জলে স্থলে অন্তরীক্ষে ভারতের বাধাÑ স্বাধীনতার বাস্তব যুদ্ধটা যদি ২৬ মার্চ থেকেও শুরু হয়ে থাকে আরো অনেক আগে ২ ফেব্রæয়ারি ১৯৭১ পাকিস্তান যুদ্ধে হেরে গেছে। তারপর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধের (খড়ংঃ নধঃঃষব) জন্য লড়াই করেছে। ফাঁদটা যে ভালোই পাতা হয়েছিল তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে : ১. কেবলমাত্র একটি ফ্লাইট করানোর জন্যই বহর থেকে প্রত্যাহার করা পরিত্যক্ত ফকার ২৭ ফ্রেন্ডশিপ উড়োজাহাজটিতে নামে মাত্র ফ্লাইওয়ার্দি করা হয়। হাইজ্যাকে যাতে ন্যূনতম ক্ষতি সাধিত হয় সে জন্যই গঙ্গা নামের এই উড়োজাহাজের প্রত্যাবর্তন। ২. হাশিম কুরেশি কাশ্মিরি মুসলমান হলেও কার্যত ডাবল এজেন্ট ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ‘র’-এর লোক হিসেবে কাজ করেন। ৩. হাইজ্যাককে বিশ^াসযোগ্য করে তোলার জন্য হাশিম কুরেশির দাবিনামায় ৩৬ এনএলএফ-এর মুক্তির দাবি ‘র’-এরই ছবক। জাহাজ উড়িয়ে দেওয়ার আগে সকল কাগজপত্র, জাহাজের ডকুমেন্টস সব বের করে নেয়া হয়। ৫. লাহোর এয়ারপোর্টে ভুট্টোর আগমনের সঙ্গে হাইজ্যাকের শিডিউল সমন্বয় করে নেয়া হয়েছিল কিনা বলা মুশকিল, তবে ভুট্টোর উপস্থিতি ও তার অভিনন্দন জানানো অভিব্যক্তি হাইজ্যাকের দায় পাকিস্তানের ওপরও অর্পণ করেছে। হাইজ্যাক ও ধ্বংসের পর দেখুন কার কী বক্তব্য : হাইজ্যাক ও ধ্বংস : প্রতিক্রিয়া (ডন থেকে অনূদিত) ১. মুজিব ওয়ার্নস ভেস্টেড ইন্টারেস্টস : ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ ঢাকায় এক বিবৃতিতে শেখ মুজিবুর রহমান হাইজ্যাক করা ভারতীয় উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রধান লাহোরে হাইজ্যাক করা ভারতীয় উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেবার ঘটনা তদন্তানুষ্ঠানের মাধ্যমে উদঘাটন করে ‘নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করা কায়েমি স্বার্থবাদী মহলকে পরিস্থিতির সুযোগ নেয়া থেকে নিরস্ত করার ব্যবস্থা করতে’ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাইজাকটি হয়তো নিয়তি নির্ধারিত হতে পারে কিন্তু জাহাজটি ধ্বংস করা অবশ্যই ঘৃণ্য কাজ। তিনি জনগণকে কায়েমি স্বার্থবাদীদের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন তারা যাতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা দিতে অস্বাভাবিক ও নাশকতামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে এ ঘটনাটি এড়ানো যেত। এটা বোঝা উচিত জাতীয় জীবনের জটিল এই সন্ধিক্ষণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি ষড়যন্ত্র ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। ২. ভুট্টো এক্সপ্লেইনস লিগাল পজিশন : ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ বুধবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, দু’জন তরুণ কমান্ডোর হাইজাক করা ভারতীয় উড়োজাহাজ ধ্বংসের জন্য জনগণ বা পাকিস্তান সরকার দায়ী নয়। করাচির উদ্দেশ্যে লাহোর বিমানবন্দর ত্যাগ করার আগে সংবাদ সংস্থা পিপিআইকে তিনি এ কথা জানান। আইনগত দিক ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পাকিস্তানি অধিক্ষেত্রে থাকা ভারতীয় উড়োজাহাজটি যদি পাকিস্তানি নাগরিক উড়িয়ে দিত তাহলে এটা অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক ব্যাপার হতো। কিন্তু দুজন কাশ্মিরি মুক্তিযোদ্ধা জাহাজটি উড়িয়ে দিয়েছে; তারা তাদের মাতৃভ‚মির স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সে কারণেই পাকিস্তানের জনগণ বা সরকার এ জন্য দায়ী হতে পারে না। দুজন কাশ্মিরিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হবে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এ প্রশ্ন অবান্তর, কারণ তারা ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি আরো বলেন, কাশ্মিরি হিসেবে তাদের পাকিস্তানে থাকার অধিকার রয়েছে। আমরা খুশি যে এই দুই সাহসী তরুণ আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। মিস্টার ভুট্টো বলেন, তিনি লাহোরে তার পার্টির নেতৃবৃন্দকে বলেছেন তারা যেন জম্মু ও কাশ্মির ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং তারা যেভাবে সহায়তা চান তাদের যেন সেই সহায়তা প্রদান করেন। তিনি কি ধরনের সহায়তা দেবার কথা বলেছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন পার্টির লোকদের জিজ্ঞেস করে জেনে নিন। পাদটীকা : গঙ্গা হাইজাকে ব্যবহৃত হয়েছে দুই অস্ত্র। হাশিম কুরেশির হাতে পিস্তল আর আশরাফ কুরেশির হাতে গ্রেনেড। এবার বাস্তবতা হচ্ছে দুটোর একটিও অস্ত্র নয়- গ্রেনেডটি কাঠের আর পিস্তলটি স্রেফ একটি খেলনা।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App