×

জাতীয়

করোনা রোধে বাংলাদেশের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৮ পিএম

করোনা রোধে বাংলাদেশের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের

বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারিতে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাপকভিত্তিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের সঙ্গে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সফলতার অতীত রেকর্ডের কথা উল্লেখ করে মহাসচিব গুতেরেস বলেন, কোনো ঝুঁকি নিরসনের বৈশ্বিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবসময়েই শীর্ষস্থানীয়। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের এ ধরনের সফলতা দেখে তাই আমি মোটেও অবাক হইনি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তার সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। আলোচনার সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব উভয়েই সম্মত হন যে করোনার টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ বিবেচিত করা উচিত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তার প্রশংসা করেন মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠানো। এর সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তায় জাতিসংঘ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

জলবায়ু কর্মসূচিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জলবায়ু-অর্থায়নকে সচল করতে মহাসচিবের আহ্বানকে স্বাগত জানান। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্য অর্জনে এবং এ বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৬ সফল করতে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে যাবে উল্লেখ করেন ড. এ কে মোমেন। মহাসচিব বলেন, অভিযোজন কৌশল বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত জলবায়ু তহবিলের ৫০ ভাগ বরাদ্দ পেতে দাতাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন তিনি।

বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত হতে যাচ্ছে মর্মে সন্তুষ্টির কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এক্ষেত্রে উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তরণ পরবর্তী সময়েও যেন নতুন সহায়তা ব্যবস্থার আওতায় দেশগুলোকে বিবেচনায় নেয়, সেজন্য উদ্বুদ্ধ করতে মহাসচিবের দপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উত্তরণ কেবল জিডিপি দ্বারা পরিমাপের বিষয় নয়, এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক নাজুক সূচকগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং মহাসচিবের পুনঃনির্বাচন ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবে অংশ নিতে মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App