আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস থেকে ভারতের জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ও ঢাকার মধ্যে নতুন ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে রেলসূত্র জানিয়েছে। আপাতত সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলাচল করবে বলে ভারতীয় রেলওয়ে সম্মতি দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরে গত ২৩ থেকে ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মার নেতৃত্বে দুদেশের বিভাগীয় ম্যানেজার পর্যায়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

প্রতি সোম এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছেড়ে আসবে এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার। বিরতিহীন ৯ ঘণ্টার যাত্রায় ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছবে। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে এটি চলবে। জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার।

বৈঠক শেষে রবীন্দ্র কুমার ভার্মা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মূলত পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখেই এই রেল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুদিন এই ট্রেন চলবে। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। অবিলম্বে ট্রেনটির নাম ও টিকিটের মূল্য ধার্য করা হবে।

তিনি আরও জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন। এর আগে দুই দেশের মধ্যে দুটি রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। নতুন এই ট্রেনটি হবে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন। এছাড়া ভারতের হলদিয়া থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত মালভাহি ট্রেন চলছে, যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটন এবং বাণিজ্য দুটোই লাভবান হবে বলে রেল কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।