×

জাতীয়

পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদেরকে হাইকোর্ট: মন্ত্রী দিয়ে ফোন করাবেন না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:২২ পিএম

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) লিমিটেডের ঋণগ্রহীতাদের সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, আপনারা পিপলস লিজিং থেকে টাকা নিয়ে বসে আছেন। এই টাকা চোর বাটপারদের নয়, জনগণের। আগে টাকা দেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বাচাঁতে হবে। টাকা না দিলে জেলে যেতে হবে।

আরেফীন শামসুল আলামীন নামের একজন ঋণগ্রহীতা আদালতে বলেন, তার জন্য একশ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু পিপলস লিজিং তার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করছে। তিনি প্রতিমাসে ২০ লাখ টাকা কিস্তি দিতেন। গত ২৪ মাস কোনো কিস্তি দেননি। এ সময় আদালত এই ব্যবসায়ীর আত্মীয়স্বজনের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, মন্ত্রী দিয়ে ফোন করাবেন না। মন্ত্রী বা কারো প্রভাবে কাজ হবে না। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। আগামী তারিখের আগেই একটা কিস্তির টাকা দিয়ে আসুন। এরপর কথা বলুন। আদালত বলেন, আপনাদের প্রথম দায়িত্ব টাকা দেওয়া।

পিএলএফএস লিমিটেড অবসায়ন সংক্রান্ত মামলায় শুনানিকালে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পিপলস লিজিং থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে ঋণখেলাপিদের বক্তব্য শোনার সময় এ মন্তব্য করেন আদালত। এসময় আদালত বাংলাদেশ ব্যাংক, ঋণগ্রহীতা ও তাদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন। আদালত আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত দুইদিনে যারা হাজির হননি তাদের আগামী ৯ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দেন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কাজী এরশাদুল আলম। ঋণগ্রহীতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, বেলায়েত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন। পিপলস লিজিং এর সাময়িক অবসায়কের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।

হাইকোর্ট গত ২১ জানুয়ারি এক আদেশে পিপলস লিজিং থেকে ৫ লাখ টাকার ওপরে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা খেলাপী হয়েছেন এমন ২৮০ জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪৩ জনকে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩৭ জনকে হাজির হতে বলা হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৪৩ জনের মধ্যে ৫১ জন হাজির হন। আর গতকাল নির্ধারিত দিনে ১৩৭ জনের মধ্যে ৪৫ জন হাজির হন।

পিপলস লিজিং এর সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের করা এক আবেদনে পিপলস লিজিং-এর প্রায় ৫শ জনের বেশি ঋণগ্রহীতার একটি তালিকা দাখিল করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App