সিইসি ও চসিক মেয়রের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৫১ পিএম
ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদা, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের পরাজিত বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইবুন্যালের বিচারক ও যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের আদালতে মামলাটি করেন তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, নির্বাচনী বিধিমালা ২০১০ এর ৫৩ বিধির ২ নম্বর উপ-বিধি অনুযায়ী মামলাটি করা হয়ছে। আদালতে মামলটি নথিভুক্ত হয়েছে। মামলায় নির্বাচনী ফল বাতিল করে মেয়র পদে পুনরায় ভোট গ্রহণের আদেশ চাওয়া হয়েছে।
শাহাদাতের করা এ মামলায় রেজাউল করিমকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে মেয়র পদে নির্বাচনী ফলাফল ও প্রকাশিত গেজেট বাতিল এবং পুনরায় মেয়র পদে ভোট গ্রহণের আবেদন করা হয়। মামলার বিবাদী অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আবুল মনজুর, এমএ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, মো. জান্নাতুল ইসলাম।
আদালত চত্বরে শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ শতাংশ ভোটকে সাড়ে ২২ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এটা চুরি নয় ভোট ডাকাতি। নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন চাই। আইনজীবী দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন অসহায় প্রাণীর মতো আচরণ করেছে। মাস্তান বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ফল বাতিল চেয়েছি আমরা।
শাহাদাত হোসেন ছাড়া এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর গুলিতে একজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে প্রায় তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। ভোট দিয়েছেন মোট ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩। ভোটের হার ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১ হাজার ৫৩টি ভোট বাতিল হয়েছে।