চতুর্থ দিনে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৫:১৩ পিএম
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন। ছবি: ভোরের কাগজ
মশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের চতুর্থ দিনে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ৬ হাজার ৬৬৪টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৮টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৪ হাজার ৩৯৬টি স্থানে মশার প্রজনন ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ১৪টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই অভিযান।
ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) ৬৮৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫৫০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ১২০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১ হাজার ৯৯৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৯৮টি স্থাপনা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২০৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১৫২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১০০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩৫৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ৫৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৯১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬২২টি স্থানে পরি”ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৭৭১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৪৯টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৪২০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩৫২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৪৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।