×

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা তুলে ধরার আহ্বান মেননের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৪:৪৮ পিএম

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে বামপন্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ আহবান জানান দলটির সভাপতি এমপি রাশেদ খান মেনন।

‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলার ঘোষণা’ দিবসের ৫১ বছর পূর্তির এই দিনে ওই আলোচনা সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে এ দেশের বামপন্থীরা কেবল গুরত্বপূর্ণ অবদানই রাখেন নি, অনেকক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকাও পালন করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বামপন্থীরাই অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় সামরিক শাসনের মধ্যেই ’৭০ এর ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন বামপন্থীরা। ওই সমাবেশের বক্তাদের ৭ বছর ও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, কেবল তাই নয়, এর আগে থেকে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থীরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাতে অগ্রগামী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও বামপন্থীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে এখন ইতিহাসের বামপন্থীদের অস্বীকার কেবল নয়, অনেকক্ষেত্রে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। মেনন আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়েই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন স্বার্থক হয়ে উঠবে। আগামী প্রজন্ম জানবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেই এগিয়ে যাবে ওয়ার্কার্স পার্টি। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের দ্বিধা, সংশয়, কোনো আপোষকামীতার প্রশ্রয় ওয়ার্কার্স পার্টি দিবে না।

পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হাসান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে ভারতের কমিউনিস্ট পাটি (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় সদস্য গৌতম দাস মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশের শহীদদের এবং মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে সিপিএম প্রথম দাবি উত্থাপন করেছিল। কেবল দাবিই নয়, ধর্মঘট হরতালও করেছে। ইন্দিরাগান্ধীর কাছে আমাদের পার্টি দাবি করেন, বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়া আমরা আমাদের পার্টির সামর্থ অনুযায়ী বাংলাদেশের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি।

সভায় আরো বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক সামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন প্রমুখ। শুরুতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশনা করেন ‘গণ সাংস্কৃতিক মৈত্রী’র শিল্পীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App