×

আন্তর্জাতিক

ভারতে ‘গো-বিজ্ঞান’ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক, অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের ৫ লাখ শিক্ষার্থী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:২৮ পিএম

ভারতে ‘গো-বিজ্ঞান’ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক, অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের ৫ লাখ শিক্ষার্থী

গরু/প্রতীকী ছবি

গরু নিয়ে ভারতের নানা আলোচনা আছে। এরই মধ্যে দেশটিতে ‘গো-বিজ্ঞান’ ও দেশীয় গরুর উপকারিতা সম্পর্কে বিষয়ে একটি বিশেষ পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ৫ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। তাঁরা সবাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ইংরেজিসহ ১৩টি ভাষায় ‘গো-বিজ্ঞান’ বিষয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বিশেষ সনদপত্র পাবেন। আর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। গরুর সব অঙ্গ মূল্যবান। গরুর চামড়া, দুধ, মূত্রের নানাবিধ ব্যবহারের পদ্ধতি কীভাবে আরও জনপ্রিয় ও কার্যকর করা যায়, সে জনই এ পরীক্ষার আয়োজন। ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে দেশটির ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন দেশীয় গরুর প্রতিটি অংশ কতটা উপকারী ও বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে চর্চা করেন এবং এই পরীক্ষায় বসতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এমিসিকিউ ধরনের এ পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টায়। এ পরীক্ষার আয়োজক দেশটির রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ নামের সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বিশ্বের ৫২টি দেশ থেকে অনলাইনে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্য জো বাইডেনের দেশ থেকেই আবেদন হয়েছে বেশি। এমন আয়োজনের বিরোধিতা এ পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে নানা সমালোচনাও হচ্ছে দেশটিতে। কেরালা-কলকাতার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমন আয়োজনের বিরোধিতাও করেছে। গরুর কোনো কিছুই অবৈজ্ঞানিক নয়—এ ধারণার ওপর ভিত্তি করেই এ পরীক্ষার জন্য আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা বিরোধিতার জন্য বাতিল করা হয়েছে। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগে বিস্মিত। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থের অধ্যাপক পার্থ রায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গবেষণার জন্য প্রাপ্য ৬০ কোটি রুপি দেয় না। আর এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কিছু বয়ে আনবে কি? ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক সমান্তক দাশ বলেন, ‘আমি এ উদ্যোগের পেছনের কাহিনির জন্য চিন্তিত। একটি অসত্যকে বৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App