×

জাতীয়

ইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করছে দুদক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:২৮ পিএম

ইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করছে দুদক

সোমাবার প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন দুদক সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার/ ছবি- ভোরের কাগজ

প্রশিক্ষণ ভাতার নামে সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, ইসি সচিব, সদ্য সাবেক সচিব ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তদন্তে আপত্তি নেই নির্বাচন কমিশনারদের- ইসি শাহাদাত

তবে ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সোমবার ভোরের কাগজকে বলেন, দুদক যদি আমাদের বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগ বা আয়ের উৎস, অর্থ সম্পদ যাচাই-বাছাই করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেননা এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো যে মিথ্যা ও বানোয়াট তা প্রমাণিত হবে। সুতরাং আমরা দুদককে অনুসন্ধানে সহযোগিতা করবো।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দুদকে এই অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। অভিযোগকারী আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, জুবায়েদুর রহমান, আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমীর, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।

অভিযোগে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ ভাতা নেয়া এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশিক্ষণ ভাতার নামে এই অর্থ খরচে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন ছিল না এবং নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার ব্যত্যয় হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। দুদক অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান এই আইনজীবীরা।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য গত বছর ১৪ ডিসেম্বর এবং গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আবেদন করে চিঠি দেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। এছাড়া একই দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থি ১০১ আইনজীবী পৃথক আরেকটি চিঠি দেয় রাষ্ট্রপতিকে।

এদিকে সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার আরও জানান, ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশের কতিপয় গার্মেন্টের মালিক ইনভয়েস জালিয়াতির মাধ্যমে এ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সুনির্দিষ্টভাবে আল মুসলিম গ্রুপের ১৭৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা এ বিষয়ে কাজ করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App