×

মুক্তচিন্তা

দিশা হারাচ্ছে রাজনৈতিক উসকানিতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৩৯ পিএম

দিশা হারাচ্ছে রাজনৈতিক উসকানিতে

অমিত গোস্বামী

ভারতে আজকাল কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রচুর বাক্য ব্যয় করা হচ্ছে। প্রকৃত কৃষক বাদে বাকিরা এ বিষয়ে মতামত প্রদানে উৎসাহী প্রায় প্রত্যেকেই। অজ্ঞান এই বিশেষজ্ঞদের জ্ঞানদানের ঠেলায় সত্যিটা কী প্রায় সবাই ভুলতে বসেছেন। কৃষি বিল সেপ্টেম্বরে আইনে পরিণত করার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বিরোধ শুরু হয়। দিল্লির প্রান্তে তাঁবু খাটিয়ে বসে পড়েন পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় দলীয় পতাকা তুলে ভারতীয় সার্বভৌমতাকে চ্যালেঞ্জ করেন তারা। এখন তারা যাচ্ছেন ‘রেল রোকো’ আন্দোলন করতে। তারা ঘোষণা করেছেন যে তারা কলকাতা আসবেন বাংলার চাষিদের বোঝাতে ও এই আন্দোলনে শামিল করতে। তাদের সঙ্গে নাচছেন কিছু তথাকথিত বামপন্থি, যারা ‘কৃষক’ বানানও প্রায়ই ভুল করেন। পশ্চিমবঙ্গের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস খুবই উজ্জ্বল। কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে সংগঠিত ভারতবর্ষের তিনটি বিখ্যাত কৃষক আন্দোলন- তেভাগা, তেলেঙ্গানা এবং নকশালবাড়ির মধ্যে দুটিই সংগঠিত হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু বিগত কয়েক দশক পশ্চিমবঙ্গ কোনো কৃষক অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেনি। অথচ মহারাষ্ট্রে ২০১৮ সালের ৬ থেকে ১২ মার্চ অল ইন্ডিয়া কিষান সভার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘লং মার্চ’। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের মহামিছিল হয়নি। কিন্তু কেন? এখানেই লুকিয়ে আছে অনেক প্রশ্নের উত্তর।

ভারতে সব জায়গার কৃষির চরিত্র এক নয়। আমরা যদি মহারাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করি তবে দেখব, মহারাষ্ট্রে মোট কৃষিজমির মাত্র ১৭ শতাংশ সেচসেবিত, পশ্চিমবঙ্গে যা প্রায় ৫৪ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে শস্য-প্রগাঢ়তা (ক্রপ ইনটেনসিটি, অর্থাৎ একই জমি বছরে ক’বার চাষ হয়, তার অনুপাত) ১২৭ শতাংশ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা প্রায় ১৭৬ শতাংশ। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো মহারাষ্ট্রে সেচ প্রায় পুরোটাই সরকারি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঠিক তার উল্টো। মাটি খুঁড়লেই যেহেতু জল পাওয়া যায়, তাই সেচের জন্য চাষিকে এখানে সরকারের ওপর বিশেষ নির্ভর করতে হয় না। সর্বোপরি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা যথাক্রমে ৪৫.১৫ শতাংশ এবং ৮০.৭২ শতাংশ জমিতে চাষ করেন। মহারাষ্ট্রে কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে বহু দিন আগে। সেখানে আর খাদ্যশস্যের চাষ তেমন হয় না। তাই পশ্চিমবঙ্গে ধান আর আলু হলো প্রধান ফসল, মহারাষ্ট্রে আখ ও তুলা। ধানের তুলনায় তুলা চাষে ঝুঁকি অনেক বেশি। সত্তরের দশকের শেষ লগ্নে ক্ষমতায় এসে সিপিএম পরিচালিত বামফ্রন্ট সরকার অপারেশন বর্গা ও ভ‚মি সংস্কারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। দিনে ও রাতে ঢোল ও বাদ্যসহ দলে দলে পার্টির কর্মীরা ব্যাপকভাবে জমির দখল নিতে থাকে। জমির পর জমিতে লাল পতাকা পুঁতে দেয়া হয়। শহরে, বিশেষত কলকাতায় পার্টির সমর্থক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিল্পীদের মনে ধারণা জন্মায় যে, গ্রামে গরিব মানুষ জমি পেয়েছেন, তারা সুখে আছেন। বামপন্থিরা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের শহরবাসীরা, যারা চাকরি ও ব্যবসাকে সম্বল করে জীবনযাপন করেন, তাদের অনেকের মনে এখনো সেই ধারণা বদ্ধমূল।

স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ আইন পাস হয়। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের ঘটনা সেসব। তার পর পশ্চিমবঙ্গে চার-পাঁচশ বিঘা জমির মালিক কেউ ছিলেন না বললেই চলে। নামে-বেনামে বিশাল সম্পত্তি ধরে রাখতে পেরেছিলেন কেউ কেউ, তবে তাদের সংখ্যা নগণ্য। অভাবক্লিষ্ট নিরন্ন গ্রামগুলোতে এমনও হয়েছে যে, সর্বাধিক জমির মালিক যিনি, তার জমির পরিমাণ বড়জোর ৩০ বিঘা। গ্রামের মানুষ তাকেই বড়লোক বলে জানে। এই ৩০ বিঘা জমিও এক মালিকানায় বেশি দিন থাকল না। ভাইয়ে ভাইয়ে জমি ভাগ হলো। দুই ভাই হলে জমির পরিমাণ দাঁড়াল ১৫ বিঘা। সন্তান-সংখ্যা বেশি হলে একক মালিকানায় জমির পরিমাণ কমতে থাকে। মেদিনীপুর বা বর্ধমানে কোথাও দু-একজন জোতদার আছেন, সেই উদাহরণ দিয়ে তো বাঙালি কৃষক সমাজের সামগ্রিক পরিচয় দেয়া যাবে না। বাঙালি কৃষক চিরকালই গরিব। তাদের নব্বই শতাংশের জমির পরিমাণ পাঁচ থেকে দশ বিঘা। এই পাঁচ-দশ বিঘা জমি নিয়ে ধান, গম, শর্ষে, তিল, কখনো দু’ফসলি জমিতে মৌসুমি সবজি লাগিয়ে তারা জীবনযাপন করতেন। অপারেশন বর্গা গ্রামজীবনের সেই নিভৃতি ও সুস্থিতির ওপর বিরাট আঘাত নিয়ে এসেছিল। যিনি জমির অধিকার হারালেন, তার জীবন ও জীবিকার কী হবে? নতুন ব্যবস্থায় পাকাপাকি অধিকার পাওয়ার পরে বর্গাদার জমির মালিককে আর জমির আলের মাথায় দাঁড়াতে দেননি, ফসলের ভাগ দেয়া তো দূরের কথা। জমির মালিক কখনো পঞ্চায়েত, বøক অফিসে অভিযোগ জানিয়ে যদি বা কিছু ধান পেলেন, কিন্তু নিজের জমিতে কতটা ফসল ফলেছে, সেই পরিমাণ তার অজানাই রয়ে গেল। অর্থাৎ নতুন ব্যবস্থায় বর্গাদার হাত-তোলা কিছু ফসল দিয়ে জমির প্রকৃত মালিককে সারা বছরের মতো বিদায় করলেন। জমি হারানো কৃষক সমাজের কেউ পার্টি, রাষ্ট্র অথবা সমাজের শত্রু ছিলেন না। তাদের পরিবারে হঠাৎ, যে অভাব ও অসহায়তা নেমে এসেছিল, তার জন্য তারা দায়ী নন। বর্গায় জমি হারিয়ে অনেকে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে পারেননি। সামান্য গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য এক সময় যারা সাধারণ গৃহস্থ ছিলেন, তাদের অনেককেই দৈহিক শ্রম দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। আজো এরা ভেবে পাননি, কোন অপরাধে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে। জমির অধিকার সূত্রে আশির দশক থেকে গ্রামে গ্রামে অশান্তি ও হানাহানি শুরু। শিক্ষিত মানুষজন দলে দলে গ্রাম থেকে নিকটস্থ শহরে চলে গেলেন। বহু অত্যাচার সহ্য করেও গ্রামে যে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত ভদ্র স্বভাবের মানুষরা এখনো রয়েছেন, তারা রাজনীতিতে আসতে চান না। গ্রামের দখল চলে গিয়েছে অশিক্ষিত একটি শ্রেণির হাতে। যাকে শহর থেকে ‘গরিব মানুষের ক্ষমতা পাওয়া’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই গ্রামীণ বামপন্থি দাদাদের দাপটে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে ক্রমে। ওদিকে পাঞ্জাবের চিত্র অন্য।

সাতের দশকে এই ‘সবুজ বিপ্লব’-এর যখন রমরমা, তখন পাঞ্জাবের কৃষকরা দাবি তুলেছিলেন, তাদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করতে দিতে হবে। সরকারের ঘরে অল্প মূল্যে ফসল না বেচে তারা চেয়েছিলেন, বেশি দামে বিদেশের বাজারে ফসল বেচে বিপুল আয় করতে। ১৯৭৩ সালে আনন্দপুর সাহিবে শিরোমণি অকালি দলের সম্মেলনের ঐতিহাসিক প্রস্তাব এ প্রসঙ্গে স্মরণযোগ্য। যেখানে দাবি উঠেছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম শুধু প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক, মুদ্রা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। বাকি কাজ রাজ্য করবে। অর্থাৎ বৈদেশিক বাণিজ্যও রাজ্য করবে। আনন্দপুর সাহিবের ওই প্রস্তাবের পর শতদ্রুত দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।?খলিস্তানের দাবিতে আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে স্বর্ণমন্দিরও। শহীদ হয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী। খলিস্তান আন্দোলনের বীজ কিন্তু প্রোথিত ছিল ওই আনন্দপুর সাহিবের প্রস্তাবের মধ্যে। আরো একটু এগিয়ে গিয়ে বললে হয়তো বলা যায়, সবুজ বিপ্লবের গভীরেই প্রোথিত ছিল পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের শিকড়। তাদের জমির তলায় জলের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছে। উন্নত বীজ, সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের জমি উর্বরাশক্তি হারিয়েছে। কৃষি থেকেই তাদের যে উচ্চ আয় হচ্ছিল সেই আয়ের নিশ্চিন্তিকরণ তারা করতে চায়। সে কারণেই নতুন নতুন শর্ত তারা চাপাচ্ছে তাদের আলোচনায়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভারতে কৃষি কি আদৌ লাভজনক? এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন গবেষণা থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় সেটায় দেখা যাচ্ছে কৃষি কতটা লাভজনক, তা ফসল এবং রাজ্য, এই দুইয়ের ওপরই নির্ভরশীল। মূলত এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানসহ উত্তর প্রদেশের বড় অংশের কৃষকরা সরব হয়েছেন। বিদ্রোহের মূল কারণ হলো সরকারি সহায়তা বন্ধ হওয়া। কৃষকদের আশঙ্কা, এই কৃষি আইনের ফলে কৃষি ব্যবস্থা বড় বড় করপোরেট হাউসের অধীনে চলে যাবে আর তাদের অধীনেই বাঁচতে হবে কৃষকদের। তাদের মূল আশঙ্কা, কৃষি ব্যবস্থায় বেসরকারিকরণ ঘটবে। এমএসপির বিষয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যায়, ২০১২-১৩ সালের এনএসএসওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতের ১০ শতাংশেরও কম কৃষক এমএসপিতে (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস অর্থাৎ সর্বনিম্ন সহায়ক মূল্য) তাদের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন এবং মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য এমএসপি মূল্য পেয়ে থাকেন। অবশিষ্ট ৯৪ শতাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বাজারে বিক্রি করেন। উক্ত ৬ শতাংশ কৃষকই মাণ্ডী ব্যবস্থা এবং সর্বনিম্ন সহায়ক মূল্য ব্যবস্থার সমর্থক যাদের অধিকাংশই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার। উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের মতো বড় রাজ্যগুলোর কৃষকরা এমএসপি মূল্যে সন্তুষ্ট নন, তারা ভালো মূল্যের জন্য মুক্ত বাজারের ওপর নির্ভর করেন ও আর এমএসপি ব্যবস্থার অবলুপ্তি না হওয়ায় কৃষকদের যে ঝুঁকি থাকে ফসল নষ্ট হওয়ার তা থেকেও কৃষকদের রক্ষা করার ব্যবস্থা আছে এই নয়া কৃষি বিলে।

অন্তঃরাজ্য ও অন্তঃদেশীয় বাজার মূল্য বিবেচনাকল্পে কৃষক বৃহত্তর বাজার পেয়ে যাবেন তার উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বিক্রি করার জন্যও। সে ক্ষেত্রে দেশীয় কৃষিপণ্য স্থানীয় বাজারের পরিসর পেরিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বৃহত্তর বাজারের সুবিধা পাবে। কৃষি বিলটিতে চুক্তিভিত্তিক চাষের কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ এখন থেকে করপোরেট সংস্থা কৃষকের সঙ্গে অগ্রিম চুক্তির মাধ্যমে কৃষককে দিয়ে চাষ করাতে পারবে। দরদাম চাষের আগেই চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষ এই ব্যবস্থাকে কৃষকের স্বাধীনতা বলে অভিহিত করেছে। কৃষকদের সঙ্গে যে কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে শুধু উৎপন্ন ফসলের ওপরে ভিত্তি করেই চুক্তি হবে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে চাষের জমি, পদ্ধতি কিংবা উপকরণ নিয়ে চুক্তি নয়ও উৎপন্ন ফসল এবং মূল্যের ওপর চুক্তি এবং এই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ফসল নষ্ট হলে বা কৃষক চাইলে চুক্তি থেকে বের হতে পারবেন। চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য বøক মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিচার চাইতে পারবেন। তাই নীলকর বা নীল চাষের মতো ব্যবস্থার সম্ভাবনা নেই। চুক্তি উৎপন্ন ফসল ও দামের সঙ্গে। জমির মালিকানা কিংবা চাষসংক্রান্ত বিষয়ে নয়। এই বিলে কৃষকের জমি বিক্রয়, লিজ দেয়া ও বন্ধকী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি মালিকানার অধিকার পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে পক্ষ প্রতিপক্ষের কলরবে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের ভাষা। কেউ প্রকৃত কৃষকদের কথা একটু শুনবেন কি? কোনো ব্যবস্থার পরিমার্জন প্রয়োজন হলেও মুখোমুখি তো বসতে হয়, আলোচনায় তো আসতে হয়। মনে হচ্ছে সেই ফলপ্রসূ আলোচনার রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App