×

মুক্তচিন্তা

সব জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:১৯ পিএম

বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র মাতৃভাষার প্রতিও আমাদের গুরুত্ব দেয়া দরকার। ভুলে গেলে চলবে না যে, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ চেতনার অন্তর্নিহিত ভাববস্তু প্রকৃতপক্ষে সব জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠারই প্রেরণা। সমগ্র বিশ্বে তাই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী সব জনগোষ্ঠীর অসংখ্য মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামী চেতনার নাম ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। সচেতনতায় শানিত আমাদের চিত্তপটে ক্রমেই ভাস্বর হয়ে উঠেছে যে, একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই ছিল না, তা ছিল বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ মাতৃভাষার অস্তিত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। পৃথিবীতে দুটি দেশে ভাষার জন্য মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছে বলে আমরা জানি। তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ এবং অপরটি ভারত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষার দাবি আদায়ের আন্দোলন হলেও আসামের বরাক উপত্যকার আন্দোলন অন্যতম। দুটি দেশের মানুষই নিজেদের জীবন বিপন্ন করেছেন একটি ভাষার জন্যÑ বাংলা ভাষার জন্য। সুতরাং যে কোনো ভাষার চেয়ে তাই বাংলা ভাষার কদর ও আদরে ভিন্নতা থাকবেই। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় মানুষের এরূপ জীবন উৎসর্গ কতটুকু সফল হয়েছে তা নির্ণয় হয়তো বিতর্কের বিষয়, গবেষণারও বিষয়। কিন্তু একটি কথা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে বাংলা ভাষার বিস্তার ঘটেছে- বিস্তার ঘটেছে বহির্বিশ্বেও। আবার এ কথা আরো স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে বাংলা ভাষার বিস্তার, প্রয়োগ ও সাফল্য-সূচকে আরো উন্নতির সম্ভাবনা ছিল। আমরা অন্যান্য অনেক সম্ভাবনার মতো ভাষা ক্ষেত্রের এই ফসলটুকুও ঘরে তুলতে বিলম্ব করে ফেলেছি। এখনো আমরা বাংলা ভাষার সম্ভাবনাময় দিকটির প্রতি যথাযথ নজর দিচ্ছি এমন কথা বলা যাবে না। অনেক সময় আমরা যেমন ‘হারানো ধন’ খুঁজে ফিরি বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও যেন ঠিক একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ভাষার সাফল্য-সফলতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি কমই শুধু নয়Ñ আমরা ভীষণ রকমের উদাসীনও বটে। মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনের সময় আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মসম্মান যতটা গভীর ও নিবিড় ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভের পর থেকে পর্যায়ক্রমে তা যেন বা হ্রাস পেয়েছে। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আত্মসম্মানের ঘাটতি থাকলে চলে না। দুঃখজনক হলো আমাদের সেই আত্মবিশ্বাসটুকু নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রমের সময়ও ৬৯ বছর আগের স্বীকৃত রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি। এই ব্যর্থতার দায়ভার এককভাবে কারো ওপর চাপানো হয়তো যাবে না। কারণ স্বাধীনতা লাভের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিভিন্ন সময় মৌলবাদী আদর্শ ও ভাবধারাপুষ্ট চেতনা কার্যকর ছিল দীর্ঘদিন। এই শ্রেণির শাসকগোষ্ঠী বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতির সুস্থ বিকাশেও ছিল চরম বিমুখ। ইতিহাসকে ভ্রান্ত ধারায় চালিত করার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের মননের জগতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল তারা। ফলে একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেও পরোক্ষভাবে তারা ভাষা আন্দোলনের সামগ্রিক আদর্শকে ভ‚লুণ্ঠিতই করেছে। বাঙালির ভাষাভিত্তিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাসকে এসব শাসক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেনি। আমরা যে আত্মসম্মান বোধের প্রতি ইঙ্গিত করতে চাই তা যে সব জাতি দেখাতে পেরেছে তারাই বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে সক্ষম হয়েছে। পাশ্চাত্যের দূরবর্তী কোনো দেশের দৃষ্টান্ত না দিয়েও এই প্রাচ্যভ‚মির কয়েকটি দেশের দিকে তাকালেই আমরা তা টের পাই। চীন ও জাপান এই ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে সন্দেহ নেই। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে ভাষার অধিকার আদায় করেনি। কিন্তু ভাষাকে তারা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা দেখতে পাই পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষা কিংবা গবেষণা করতে গেলে যেমন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা-পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয় তেমনি চীন এবং বিশেষ করে জাপানে উচ্চশিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য যেতে চাইলে যে কোনো ভাষাভাষীকে জাপানি ভাষা শিক্ষা ও সেই ভাষায়ই তা সম্পন্ন করতে হয়। এটাকে ‘উপনিবেশবাদ’বিরোধী চেতনাও বলা যেতে পারে, শক্তিও বলা যেতে পারে। ঔপনেবিশক ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি না। সচেতনভাবে অনেকে চেষ্টাও করেন না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এক ভাষণে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন, আমাদের প্রশাসনসহ সকল কর্মকাণ্ড থেকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মমত্ববোধের দায় এবং ঔপনিবেশিক হীনম্মন্যতা অস্বীকার করার লক্ষ্যেই ১৯৭৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বলিষ্ঠ কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বাংলা ভাষা ছাড়া কোনো নথিতেই তিনি স্বাক্ষর করবেন না। আমাদের মনে রাখা দরকার যে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই উপনিবেশ-উত্তরকালে পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যেটি একটি নৃতাত্তি¡ক ও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তার পূর্বে এশিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকা মহাদেশের কোথাও এমন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বাঙালির আরেকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো মাত্র দুই যুগের মধ্যেই পাকিস্তানি উপনিবেশ থেকে অন্তত ভৌগোলিকভাবে মুক্ত হওয়া। ঔপনিবেশিক চিন্তার লালনপালন মানুষকে পঙ্গুত্বে পরিণত করে। এখনো আমাদের অনেকের চিন্তার মধ্যে ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানি মানসিকতা ‘ভর’ করে আছে! পঙ্গুত্বই যেন আমাদের ‘বিধিলিপি’! আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারি না। স্বাধীনভাবে কাজও করতে পারি না। সবচেয়ে মারাত্মক ঔপনিবেশিক হীনম্মন্যতা এই যে, বিদেশিরা কোনো কিছু ‘ভালো’ না বলা পর্যন্ত কোনো প্রকার ‘উত্তম’কেও আমরা স্বীকার করি না! পরানুকরণ এবং পরনির্ভরশীলতা আমাদের এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কার-সংস্কৃতি এমনকি শিল্পসাহিত্যের নন্দনতাত্তি¡ক মূল্য বিচারেও আমরা পরমুখাপেক্ষী হয়েই বসে থাকি! এমন পরাশ্রয়ী মনোভাব লালনের জন্যই আমরা ভাষাচর্চার ক্ষেত্রে হীন মানসিকতার পরিচয় দেই। কখনো কখনো বাংলা ভাষায় কথা বলাও আমরা এড়িয়ে চলি, এড়িয়ে চলি আমাদের স্ব-স্ব আঞ্চলিক মাধুর্যমাখা বাগবিন্যাসও! অনেক সময় আবার অপ্রয়োজনে ইংরেজিচর্চায় গলদঘর্মও হয়ে পড়ি! আমাদের এরূপ মানসিকতার কারণে এক ধরনের বিকৃত রুচিও সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি হয়ে গেছে। বিয়ের অনেক দাওয়াতপত্রে তাই আমরা ইংরেজিতে আমন্ত্রণলিপি দেখতে পাই! এটিই যেন আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে! অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে সেই বিয়েতে একজন বিদেশি অতিথিও উপস্থিত থাকেন না! এমন পরনির্ভশীল ও আত্মসম্মানহীন বেঁচে থাকার অর্থ ‘অন্যের হয়ে অন্যের মধ্যে’ বেঁচে থাকা- বাঙালির আপন সত্তা বিসর্জনের মধ্যে বেঁচে থাকা! অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আত্মসম্মনের প্রকাশ দেখেছি! প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির আত্মসম্মান রক্ষার্থেই বিশ্বব্যাংকের মুখের ওপর চপেটাঘাত করতে দ্বিধা করেননি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে আমাদের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায়ও আমাদের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা জরুরি। রাষ্ট্রীয় নির্বাহী আদেশ থাকার পরও রাষ্ট্রেরই বিভিন্ন সংস্থায় বাংলা ভাষা চালু হয়নি- এটি এক ধরনের দুর্বলতা ও উদাসীনতা। এই দুর্বলতা ও উদাসীনতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৫২ সালের পর প্রতি বছরই শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনকালে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, শপথও নিই। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চেতনার ওপর ধুলাবালির পাহাড় জমেÑ আমরা সব ভুলে যাই! অপেক্ষা করি আরেকটি ফেব্রুয়ারির। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে নানা উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ে। ঢাকা শহরে ইংরেজি ভাষার সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ভাঙার অভিযান শুরু হয় একুশে ফেব্রুয়ারির মাত্র ৩ দিন আগে! বাংলা ভাষা রক্ষার এর চেয়ে হাস্যকর উদ্যোগ আর কী হতে পারে জানি না! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বছরের ১১টি মাস হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছে! এই ‘অভিযান’ও বাংলাদেশে পরিচালিত বস্তি উচ্ছেদ, নদ-নদী, সরকারি ভ‚মির দখলদার উচ্ছেদ এবং ফুটপাতের হকার উচ্ছেদের মতোই যে একটি ‘ব্যর্থ অভিযান’ হিসেবে ইতিহাসের অংশ হবে তা শিশুদেরও বুঝতে বাকি থাকে না। বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বাংলা একাডেমির ভ‚মিকাও খুব একটা চোখে পড়ে না। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন, রুটিন কাজ হিসেবে পুস্তক প্রকাশ এবং বিভিন্ন দিবস পালনের মধ্যেই একাডেমির কর্মকাণ্ড আটকে আছে! বাংলা ভাষার সুস্থ বিকাশ ও সুষ্ঠু প্রয়োগে বাংলা একাডেমির জনসম্পৃক্ততামূলক কোনো কর্মকাণ্ডই আমাদের নজরে পড়ে না। তাই রাস্তাঘাটে বেরুলেই বাংলা ভাষাচর্চার বেহাল দশা আমরা দেখতে পাই। বিভিন্ন রকমের যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, দোকান, রেস্তোরাঁ, বিচিত্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমনকি গণমাধ্যমগুলোতে ভুল বানানের যে প্রকাশ্য মহোৎসব (!) চলছে বাংলা একাডেমির সক্রিয় সদিচ্ছা থাকলে এসবের কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো এবং ভাষার মাধুর্য রক্ষা পেত বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র মাতৃভাষার প্রতিও আমাদের গুরুত্ব দেয়া দরকার। ভুলে গেলে চলবে না যে, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ চেতনার অন্তর্নিহিত ভাববস্তু প্রকৃতপক্ষে সব জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠারই প্রেরণা। সমগ্র বিশ্বে তাই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী সব জনগোষ্ঠীর অসংখ্য মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য পাকিস্তানি শাসকের পুুলিশের গুলিতে যে ভ‚মি তার সন্তানের রক্তে রঞ্জিত হয় সেই বাংলাদেশেই বিগত ৬৯ বছরে যেখানে বাংলা ভাষারই মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষার ভবিষ্যৎ আমাদের ভাবিত ও বিচলিত করে। সব জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হোক, সব মাতৃভাষা জীবন্ত থাকুক মানুষের মুখে মুখে। চলমানতা ও সক্রিয়তার মধ্যেই কোনো ভাষা মর্যাদাবান হয়। সব ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ভাষাসংগ্রামীদের উৎসর্গীকৃত আত্মদান সার্থক হয়ে উঠুক। আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App