×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন, গ্রেপ্তার পাঁচ শতাধিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:২৮ এএম

মিয়ানমারে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন, গ্রেপ্তার পাঁচ শতাধিক

মিয়ানমারে সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: সিএনএন

মিয়ানমারে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন, গ্রেপ্তার পাঁচ শতাধিক

সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ।

মিয়ানমারে ধীরে ধীরে বাড়ছে আন্দোলনের গতি। রাজপথে নেমে আসছেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণকারী সেনাবাহিনীর অভিযানে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সরকারি দপ্তরগুলোতে চলা ধর্মঘট উৎসাহিত করায় ছয় জনপ্রিয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সামরিক জান্তা সরকার।

বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি চৌরাস্তার মোড়ে কয়েক ডজন প্রতিবাদকারী অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ পণ্ড করে দেয়। এসব ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় তারা চাকরি থেকে ইস্তফা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। খবর ইরাবতী, রয়টার্স ও সিএনএনের।

সেনাবাহিনীর এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, জনগণের শান্তি ও সুনিদ্রা নিশ্চিত করতে শক্তি প্রয়োগ করছে সেনাবাহিনী।

[caption id="attachment_266281" align="alignnone" width="700"] সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সিএনএন[/caption]

মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন।

এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে সু চির রিমান্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন অভিযোগ এনে আটকে রাখা হয়েছে তাকে। আর নতুন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App