করোনায় ২৫ শতাংশ র্যাব সদস্য আক্রান্ত হয়েছে: র্যাব ডিজি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৭:১৪ পিএম
র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে র্যাব ফোর্সেসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টিকা নেন তিনি।
এ সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার ও র্যাবের আইন এবং গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহসহ আরও অনেকে টিকা নেন।
টিকা নেওয়া শেষে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বলেন, কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল সেটি কেটে গেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা চলে এসেছে। মানুষ এখন দলে দলে টিকা নিচ্ছেন ও নিবন্ধন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। মানুষ সফলভাবে টিকা নিচ্ছেন। দেশে খুব ভালোভাবে টিকার কার্যক্রম চলছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সবার সহযোগিতায় আমরা করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছি। র্যাবের সদস্যসহ সারা দেশের মানুষ এখন টিকা নিচ্ছেন। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই এখনো করোনার টিকা পায়নি। তবে আমরা উন্নত অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম থেকেই টিকা পেয়েছি। আমাদের দেশের এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন।
ডিজি বলেন, করোনায় র্যাবের ১০ হাজার সদস্যদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে র্যাব সদস্যদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা কম ছিল ৬ জন। যদিও আমাদের কাছে প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা কাজ করেছি।
করোনার সময় র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল উল্লেখ করে র্যাব প্রধান বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে আমাদের অভিযান কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছি। র্যাবের প্রতিটি সদস্যকে স্বাস্থ্যসচেতন করে জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিয়েছি। এই জন্য করোনাকালীন আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম কমে যায়নি। এছাড়া হেলিকপ্টার দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আমরা এনেছি ও তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের সদর দপ্তরের যেহেতু লোক সংখ্যা বেশি সেই জন্য এখানে আমরা আলাদাভাবে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ব্যাটেলিয়ানগুলো সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা টিকা নিচ্ছেন। এছাড়া সিলেটে আমাদের অধিকাংশ লোক টিকা নিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমাদের সদস্যরা টিকা নিচ্ছেন।