×

জাতীয়

অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন হাজী সেলিমপুত্র ইরফান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:১৯ পিএম

অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন হাজী সেলিমপুত্র ইরফান

ইরফান সেলিম/ ফাইল ছবি

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজকে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ৪ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার করণে ইরফানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এজাহারে ত্রুটি, ঘটনাস্থল ঠিক না-হওয়া, সাক্ষ্য প্রমাণ না-থাকা এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য না-পাওয়া। দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, র‌্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার কাইয়ুম ইসলাম বাদী হয়ে ২৮ অক্টোবর চকবাজার থানায় ইরফান ও তার সহযোগী জাহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ অক্টোবর চকবাজারের দেবীদাস লেনের চাঁন সরদার ভবনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে জাহিদুলের দেহ তল্লাশি করে একটি কালো রঙের পিস্তল, ৪০৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এরপর ইরফান সেলিমের শয়নকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি অবৈধ পিস্তল, ম্যাগাজিন ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পরে সেলিম ও জাহিদুলকে নিয়ে ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে একটি এয়ারগান, দুটি কালো রঙের ছোরা, একটি চাইনিজ কুড়াল, বিদেশি মদ, ৩৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কালো রঙের ব্যাটারি ও চার্জারসহ ওয়াকিটকি সেট, হ্যান্ডকাফ এবং ক্যামেরাযুক্ত একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়। এ সময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। তার নির্দেশে এসব জব্দ করা হয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। এজাহার ও জব্দ তালিকায় ঘটনাস্থল ইরফানের শয়নকক্ষ উল্লেখ করা হলেও সেটি শয়নকক্ষ ছিল না। সেটি ছিল অতিথিকক্ষ। ইরফানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট ও মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করাসহ হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা পিস্তলটি তার অতিথিকক্ষে রেখেছে। এ ছাড়া পিস্তলটি কার দেখানোমতে জব্দ করা হয়েছে তা এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি।

মাদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য (অস্ত্র মামলার প্রতিবেদনেরমতো) উপস্থাপন করা হয়। মামলাটির ঘটনাস্থল ইরফানের শয়নকক্ষ উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মাদকদ্রব্যগুলো তার অতিথিকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশি মদ ও বিয়ার কার দেখানোমতে উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়টিও বাদী এজাহার ও জব্দ তালিকায় উল্লেখ করেননি।

উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডিতে হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করে। এ ঘটনায় পরদিন ইরফানসহ আরও চারজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওই কর্মকর্তা। ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজি সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App