×

সারাদেশ

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:২৮ এএম

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ

পাবানার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান মনির বিরুদ্ধে। গত রবিবার উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে প্রায় শতাধিক দুস্থ, অসহায় ভিজিডি কার্ডধারী নারী তাদের সঞ্চয়ের মোট টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তারা বলেন, প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে ২৪ মাস সঞ্চয় জমা দিয়েছি। আমরা জমানো টাকার সম্পূর্ণ ফেরত চাই। গরিবের টাকা আত্মসাৎ করা চলবে না।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক দুস্থ, অসহায় ভিজিডি কার্ডধারী নারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় ইউপি দফাদার তাদের বাধা দিয়ে হুমকি দেন। বড়বিসাকোল গ্রামের মকুল প্রামানিকের স্ত্রী মোসা. কাজলী, জিন্নাত আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার, জোকা গ্রামের আলমের স্ত্রী মোমতা খাতুন, গদাই রুপশি গ্রামের ইনতাজ সরকারের স্ত্রী মিনাসহ একাধিক কার্ডধারী বলেন, আমরা অসহায়। আমাদের জমানো টাকা কম দিচ্ছে। আমাদের সঞ্চয়ের বই ও মানি নিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে দিয়েছি ২ বছর। অথচ বইতে লিখেছে ২৭৫ টাকা। আবার কয়েক মাস বইতেও তোলে নাই শুনছি। আমাদের কষ্টের টাকা পুরোটা ফেরত চাই।

জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ৩৫৫ জন দুস্থ, অসহায় ও সক্ষম নারীকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত এনজিও মানব কল্যাণ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে প্রতি মাসে উপকার ভোগীদের চাল দেয়ার আগে ৩০০ টাকা করে গ্রহণ করেন। কিন্তু এনজিওর কর্তাব্যক্তিরা সরাসরি সুফলভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ না করে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির মাধ্যমে গ্রহণ করতেন।

নিয়মানুযায়ী ভিজিডি কার্ডধারীরা সঞ্চয়ের টাকা লাভসহ ফেরত পাওয়ার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা সঞ্চয়কৃত সম্পূর্ণ টাকাই ফেরত পাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ভিজিডি কার্ডধারীরা প্রতি মাসে ৩শ টাকা করে দিয়েছে। যা সঞ্চয় বইতে ২৭৫ টাকা জমা করা হয়েছে এবং গাড়ি ভাড়া বাবদ ২৫ টাকা খরচ নেয়া হয়েছে। তাই ২৫ টাকা জমা করা হয়নি।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের হিসাবরক্ষক কাম-কম্পিউটার অপারেটর উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ভিজিডি খাদ্য শস্য পরিহনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি টনে দূরত্ব অনুযায়ী পরিহন খরচ বহন করে থাকে।

অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আয়নুল হক বলেন, ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছ থেকে পরিবহন খরচের জন্য প্রতিমাসে ২৫ টাকা করে নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কাউছার হাবিব ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App