×

পুরনো খবর

ইন্টারনেট হোক নিরাপদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:১৭ পিএম

ইন্টারনেট হোক নিরাপদ

ফাইল ছবি।

ইন্টারনেট হোক নিরাপদ
সাইবার অপরাধ, সাইবার বুলিং, অনলাইনে প্রতারণা, সামাজিক যোগাযোগ ক্ষেত্রগুলোতে নিরাপত্তা, ক্ষতিকর ইন্টারনেট থেকে শিশুদের সুরক্ষা, কিশোর-যুবকদের জেনে-বুঝে ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা ও নিরাপদ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ ফেব্রæয়ারি বিশ্ব নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালিত হয়ে থাকে। ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেফবর্ডার প্রকল্পের উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ২০০৫ সাল থেকে ইনসাফ নেটওয়ার্ক দিবসটি উদযাপনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। দিবসটি বিশ্বের প্রায় ১৭০টি দেশে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। ইন্টারনেট আমাদের স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি করোনা পরিস্থিতিতে এটি হয়েছে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অফিসের মিটিং, কেনাকাটা, অনলাইন ক্লাস সব কিছু এখন সম্পন্ন হচ্ছে ইন্টারনেটের দ্বারা। ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)’ তথ্যানুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১১ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সঙ্গে বাড়ছে ইন্টারনেট অপরাধও। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অপরাধ সংঘটিত হয় তাকে সাইবার অপরাধ বলে। বর্তমানে সাইবার অপরাধ একটি অতি পরিচিত আতঙ্কের নাম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তথ্য চুরি বা বিকৃতি করা, ভুয়া আইডি বা ই-মেইল ব্যবহার করে বøগে বা মেইলে বা ওয়েবসাইটে হুমকি বা প্রতারণা করা, যৌন হয়রানি, ব্যক্তির নামে অপপ্রচার, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ চুরি, হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোভনীয় অফার লিংকের মাধ্যমে দেয়া ইত্যাদি সাইবার অপরাধগুলো সংঘটিত করে। অপরাধের মধ্যে সাইবার বুলিং অন্যতম। সাইবার বুলিং হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সম্মানহানি করা, ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন করা বা অন্য কোনো অপরাধে প্রলুব্ধ করা। বর্তমানে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে মধ্যবয়সিরাও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, তবে সবচেয়ে বেশি নারীরাই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। আমাদের নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সাইবার বুলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যথাযথ আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। ইন্টারনেটে যেন কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়, কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক সহিংসতার সূত্রপাত যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু না হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। সবার জন্য ইন্টারনেট হোক নিরাপদ। শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App