শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা নেই, উৎসবে ভাটা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০২ এএম
সরস্বতী পূজা।
ঢাকা কমিউনিটি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ থেকে তোলা। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস।
সীমিত আয়োজনে সারাদেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী পূজা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পূজামণ্ডপ দেবীর বন্দনায় মুখরিত হলেও করোনাকালে এ বছর তা হচ্ছে না। খুব কম সংখ্যক স্কুল-কলেজে চলছে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী দেবীর পূজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলেও পূজার আয়োজন করা হয়েছে সীমিত পরিসরে।
শাস্ত্র মতে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবীর আরাধনা করা হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। কল্যাণময়ী, ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী সরস্বতীর আরাধনা করেন।
সরস্বতী দেবী শে্বতশুভ্র বসনা। দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এ জন্য তাকে বীণাপানিও বলা হয়। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে।
[caption id="attachment_265899" align="aligncenter" width="687"] শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস।[/caption]পূজা ছাড়াও সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, হাতেখড়ি, প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা আরতি, ধর্মীয় আলোচনা, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন। তবে এসব আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেওয়ার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে হলে ও মাঠের পূজা মণ্ডপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে হলের পুকুরের মাঝখানে চারুকলা অনুষদের প্রতিমাকে ঘিরে। করোনার কারণে এ বছর চারুকলা অনুষদসহ হলের খেলার মাঠজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের উদ্যোগে যে মণ্ডপ করে পূজা করা হতো সেগুলোও হচ্ছে না।
[caption id="attachment_265900" align="aligncenter" width="687"] শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী দেবীর জন্য বিভন্ন খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস।[/caption]জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ভোরের কাগজকে বলেন, করোনার কারণে আয়োজন সীমিত আকারে করা হচ্ছে। হলের উপাসনালয়ে একটি মণ্ডপেই পূজা অনুষ্ঠিত হবে।