প্রেমে জড়াতে না দেয়ায় মা-মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:২৮ পিএম
র্যাবের হাতে আটক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান
র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান
৭/৮ বছর আগে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় একই রুমে থাকতেন রুহুল কুদ্দুস বাবু (৩৫) ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান (৪২)। তখন পাশের ফ্লাটের ভাবি মাে. মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের (৩৫) প্রতি আটক পরানের কুদৃষ্টি পরে, এতে বাঁধা দেয় রুহুল কুদ্দুস বাবু। বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েসহ তিনজনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরতর জখম করে জাহাঙ্গীর আলম পরান।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শনির আখড়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে রুহুল কুদ্দুস বাবু, মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার, তার মেয়ে মাহামুদা মেহেররিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পরান। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রুহুল কুদ্দুস বাবুর বড় বোন বিউটি বেগম।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের সানারপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
র্যাব-১০ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় ৭/৮ বছর আগে একই রুমে থাকতেন আহত রুহুল কুদ্দুস বাবু ও গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরান। তখন পাশের ফ্লাটের ভাবি মাে. মাসুদ কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের (৩৫) প্রতি গ্রেপ্তার পরানের কুদৃষ্টি পরে, এতে বাঁধা দেয় রুহুল কুদ্দুস বাবু।
[caption id="attachment_265941" align="aligncenter" width="700"] র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান[/caption]
তিনি বলেন, এ কারণে পরানকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরান বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ইয়াসমিন আক্তার ও তার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আবারও বাঁধা হয়ে দাড়ায় রুহুল কুদ্দুস বাবু। এর জের ধরে পরান রবিবার সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতিসহ বাবুর বাসায় যায়।
র্যাব-১০ এর সিও বলেন, রুহুল কুদ্দুস বাবু দরজা খুলতেই পরান বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে এলােপাতাড়ি কুপিয়ে বাবুর মুখে, কানে, চোখের উপরে, মাথায়, ঘাড়ে ও ডান হাতের তালুতে গুরুতর জখম করে। বাবুর আর্ত চিৎকার শুনে ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়ে মাহামুদা মেহেরিন বাবুকে বাঁচাতে এলে পরান প্রথমে মেয়ে মাহামুদাকে তার ডান হাতে ও পরে ইয়াসমিন আক্তারের মাথায় গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
এ সময় প্রতিবেশীরা গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরকীয়ার সম্পর্কের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরকীয়ার কারণে ঘটনা ঘটেছে এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।