×

পুরনো খবর

সিন্ডিকেট মুক্ত রাখুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৩০ পিএম

ফের উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আজ মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরাও নতুন খবরের আশায় থাকলাম। তবে ২৫-৩০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। ওই বৈঠকের এজেন্ডায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যার কথা উল্লেখ থাকায় বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তারা। তাই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বাদ দিয়ে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মালিকরা। দাবিটি জনগুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হিসাবে, সবশেষ ২০১৮ সালে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার। কিন্তু ওই বছরই সেপ্টেম্বরে দেশটির নতুন সরকার কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়ায় এবং গত বছরজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে সেখানে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল নামমাত্র। আবার দেশে ছুটি কাটাতে এসে সেখানে কমর্রত প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি করোনার কারণে আটকে রয়েছেন। এসব কর্মী এখন দিন গুনছেন ফিরে যাওয়ার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি সচল করতেই মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কর্মী নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই বাজারটি উন্মুক্ত হলে মালয়েশিয়া গমন প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হওয়াও জরুরি। রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা অভিযোগ করেছেন, ১ হাজার ৮০০ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২০০ রিনিউ করা বৈধ এজেন্সিকে বঞ্চিত করে ২৫টি লাইসেন্স নিয়ে নতুন করে সিন্ডিকেট গঠনের নীলনকশার অশুভ প্রক্রিয়া চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ৯৯ ভাগ রিক্রুটিং এজেন্সি বঞ্চিত হবে এবং বাজার শিগগিরই অস্থিতিশীল হবে, যা সরকারের প্রতিশ্রæতি ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। এর আগে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আমরা দেখেছি। নানা অনিয়মের কারণে ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে, ভুয়া পারমিট দেখিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক এনে এবং সাগর ও আকাশপথে অবৈধভাবে লোক এনে মালয়েশিয়ায় অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করার রেকর্ড রয়েছে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে। মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে শ্রমিক প্রেরণের বিষয়টি যেন স্বচ্ছতা থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আর এর জন্য প্রয়োজন উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও অধিক কর্মসংস্থান। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ ভোগ করছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ তরুণ। এদের শ্রমকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম ক্ষেত্র হলো রেমিট্যান্স। জনশক্তি রপ্তানি এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া। এ বিশাল বাজার নানা কারণে আমরা হারাতে বসেছি। তবে এরই মধ্যে ওমান, কাতার, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুরে নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার যাতে দ্রুত আবার উন্মুক্ত হয় এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App