×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে মরিয়া জান্তা সরকার, নতুন আইন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৪১ পিএম

মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে মরিয়া জান্তা সরকার, নতুন আইন

সু কির মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা

মিয়ানমারে সেনা শাসন বিরোধী বিক্ষোভ যতো তীব্র হচ্ছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মরিয়া হয়ে উঠছে দেশটির জান্তা সরকার। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান আরও জোরালো করতে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেছে তারা। নতুন এ আইনে মিয়ানমারের অধিবাসীদের বাড়িতে রাত্রিকালীন কোনও অতিথি অবস্থান করলে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সেনাবাহিনী পরিচালিত ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে আইনকে পাত্তা দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরাও।গতকাল রাতে বিক্ষোভের পর রবিবার ভোরেও নবম দিনের মতো তারা রাজপথে নেমে আসেন। গ্রেপ্তার, গুলি, জলকামানের ভয় উপেক্ষা করে লাখো মানুষ এসব বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন।

রোববার সকালে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা সাদা পোশাক পরে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে মিছিল করে যায়। এ সময় তাদের হাতে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু কির মুক্তি চেয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছিল।

গত ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু কি সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটিতে। প্রতিদিনই রাজপথে নেমে আসছে লাখো মানুষ। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হচ্ছে পুলিশও। সেনা অভ্যুত্থানের দিনেই নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু কিসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর এ পর্যন্ত বহু বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হয়েছে। তাতেও বিক্ষোভ দমাতে পারছে না সেনাবাহিনী।

এ পরিস্থিতিতে ওয়ার্ড অর ভিলেজ ট্র্যাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামের আইনটিতে শনিবার রাতে সংশোধনী নিয়ে আসে জান্তা সরকার। সংশোধনী অনুযায়ী, কোনও বাসিন্দা যদি তাদের বাড়িতে অতিথি থাকার খবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে না জানায়, তবে তাদেরকে জরিমানা কিংবা কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। সন্দেহভাজনদের আটক ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চালানোর আগে আইন অনুযায়ী আদালতের অনুমতি নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা, তাও বাতিল করা হয়েছে। অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও দৃঢ় সমর্থক হিসেবে পরিচিত মানুষদের গ্রেফতার করারও আদেশ জারি হয়েছে।

শনিবার রাতেও সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের উপকণ্ঠে সাদা কাপড় পরে বিক্ষোভ করেছে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু কির মুক্তির দাবি করে তারা। অনেকে রাতের বেলা গ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ড বহন করে। রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল ও গাড়ির আরোহী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App