রাজধানীতে পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫১ পিএম
পুলিশ ধাওয়া করলে ছোটাছুটি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ছবি: ভোরের কাগজ।
আহত একজন। ছবি: ভোরের কাগজ।
আহত একজনকে ঘিরে রেখেছে নেতাকর্মীরা। ছবি: ভোরের কাগজ।
গতকাল বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: ভোরের কাগজ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: ভোরের কাগজ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: ভোরের কাগজ।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলটির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপির সমাবেশ।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে শাহবাগ থানার ওসি জানিয়েছেন।
আহত বিএনপি নেতাকর্মী। ছবি: ভোরের কাগজ।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ এগিয়ে আসে । একদল নেতা-কর্মী বেড়া ভেঙ্গে প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়ে। প্রেসক্লাবে বিষয়টিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের লাঠিচার্জ করে এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
[caption id="attachment_265407" align="alignnone" width="1280"] আহত একজনকে ঘিরে রেখেছে নেতাকর্মীরা। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]
তবে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
[caption id="attachment_265422" align="aligncenter" width="687"] বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই প্রেসক্লাব এলাকা ও এর আশপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় এই সড়ক ধরে সাধারণ মানুষকেও হেঁটে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাঁদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। গত মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।