×

মুক্তচিন্তা

ভাসানচরে সু কিকে স্বাগত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:১৩ পিএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত মানবতা দেখিয়েছে, প্রশংসা ছাড়া নগদে গলা উঁচিয়ে বলার মতো কিছু পায়নি। থাইল্যান্ডে কারেন শরণার্থীর সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১ লাখ ৩০ হাজার- এটাকে পুঁজি করে থাইল্যান্ডের মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে অভাবনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সেই কারেনরা থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট পায়নি, ভোটার হয়নি। আমরা পালন করছি অন্তত দশগুণ বেশি শরণার্থী। তারা পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে বিশাল বসতি স্থাপন করেছে। সে দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বাড়েনি, বেড়েছে সু কিদের পাঠানো শরণার্থী।
পৌনে একশত বছর বয়স্ক সুস্মিত নারী অং সান সু কি একটি আবক্ষ ছবিতে ‘ভাসানচরে স্বাগতম, ভাসানচর আপনারই অপেক্ষায়’ লেখা একটি ইমেজ যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং সাইবার মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন অজ্ঞাত সেই শিল্পীকে সাধুবাদ দিয়েই শুরু করতে চাই। সু কির ঘাতক-বান্ধব চেহারা আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে একদা তা অবিশ^াস্য মনে হলেও এখন তারা সু চিকে সম্ভবত চিনেছেন। বাংলাদেশ এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, সু কির এই দুর্যোগের দিনে বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা বিধবা নারীর সঙ্গে বিধবা সু কিকেও ভাসানচরে আমরা আশ্রয় দেব; আপনার স্বামী মাইকেল এরিসের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৯ সালে। এখানকার রোহিঙ্গা বিধবা কারো কারো স্বামীর মৃত্যু হয়েছে আপনার অঙ্গুলি হেলনে, আপনার সেনাবাহিনীর হাতে। যে সেনাবাহিনীর গণহত্যার সাফাই গাইতে আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হয়েছেন, ভুয়সী প্রশংসা করেছেন তাদের দেশপ্রেমের। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জাতিগত উচ্ছেদ আপনার চোখেই পড়েনি, গণহত্যাকে আপনি বলেছেন দেশপ্রেম। সুতরাং আপনার দেশপ্রেমিক সৈনিকরা এবার সম্ভবত দেশপ্রেমের বৃহত্তর নজির সৃষ্টি করতে আপনার সরকারকে ছুড়ে ফেলে আপনাকে বন্দি করেছে। রিমান্ডে নিয়েছে, মামলা দায়ের করেছে, আরো মামলার খসড়া তৈরি হচ্ছে। আপনার ‘পিতার সন্তানেরা’ (এ ভাষা আমার নয়, অং সান সু কির) অবশ্য আপনার প্রতি সদয়, তারা আপনাকে রোহিঙ্গা বিবেচনা করেনি। এতদিন দাসখত দিয়ে আপনি সরকার (আইওয়াশের সিভিল গভর্নমেন্ট) চালিয়েছেন, আর একটা দাসখত দিয়ে বলুন পৌনে একশত বছর বয়সে আর কারাবাস করতে চান না। বাংলাদেশের ভাসানচরে নবনির্মিত গৃহে বাকি জীবনটা কাটাতে চান। আপনি অবশ্য স্বাগতম। আপনি দয়া করে চলে আসুন, আপনার দুই এতিম পুত্র আলেকজান্ডার ও কিমকেও বিলেত থেকে চলে আসতে বলুন। মায়েতে ছেলেতে আপনার তাড়ানো রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিঠে রোদে খোলা বাতাসে জীবনযাপন করুন। লক্ষ রাখা হবে ঠিকাদার যেন আপনার ভাগের রেশনেরন মাল নয়ছয় না করে। আপনি অবশ্যই স্বাগতম। আমি সরকারি কর্মজীবী হিসেবে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ পুরো দুবছর রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। সে সময় আমি কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে অং সান সু কির জন্য আমাকে একাধিক নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। আমার এই বক্তব্য যে কারো মনেই খটকা লাগতে পারে। কুতুপালং ক্যাম্পে সু কি এলেন কখন? তিনি এলে বরং ভালোই ছিল। তিনি তখন গৃহবন্দি জীবনযাপন করছেন। দেশ চালাচ্ছেন সিনিয়র জেনারেল থান শুয়ে। রোহিঙ্গারা তাদের মা-জননী ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ অং সান সু কির মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেছে; আন্দোলন অনাচারে পরিণত হয়েছে। কারাবন্দি অপরাধী রোহিঙ্গারা নিজেদের মুক্তির বদলে সু কির মুক্তির দাবি জানিয়ে অনশনের ঘোষণা দিয়েছে, কয়েকজন কয়েদি সু কির মুক্তি নিশ্চিত করতে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্পের ভেতর আন্দোলন এতটাই নাশকতামূলক ছিল যে, তা সামাল দিতে একাধিক ট্রাকভর্তি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের জড়ো করতে হয়। পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের পুলিশকে মিয়ানমার পুলিশ জ্ঞান করে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশকেও গুলি চালাতে হয়। পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পুলিশের গুলিতে একজন নিহতও হয়। যে পরিমাণ গুলির শব্দ কানে এসেছে মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হলেও অবাক হতাম না। হাতের কাছে একটি মৃতদেহ পেলে সু কি মুক্তির আন্দোলন নতুন একটি মাত্রা পাবেÑ এই বিবেচনায় মৃতদেহটি দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন নেতাকে ডেকে কথা বলি এবং আশ^স্ত করি যে, তাদের দাবি আমরা সরকারকে জানাব। সরকার নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা এতে সন্তুষ্ট হয়নি, কোনো মন্ত্রী এলেও নয়, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এসে তাদের আশ^স্ত করলে তারা আন্দোলনে বিরতি দেবে। সেই দুবছর এ ধরনের বহু আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাদের আন্দোলন আমাদের এটা বিশ্বাস করিয়েছে যে, সু কি বাস্তবিকই রোহিঙ্গাদের মা-জননী। সিলেট, বান্দরবান এবং কক্সবাজার কারাগারে রোহিঙ্গা কয়েদিরাও কোথাও জননীর মুক্তির জন্য অনশন করে এবং কোথাও অনশনের হুমকি দেয়। সে সময় ইউএনএইচসিআর খাতায় ২১ হাজারের কিছু বেশি শরণার্থী ছিল, ক্যাম্প ও রেশনের বরাদ্দ তাদের নামেই ছিল, কার্যত তখন কক্সবাজারে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার একাধিক নজির রয়েছে। গণপিটুনিতে রোহিঙ্গা ডাকাত ইউনুস সর্দার নিহত হলে উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। ক্রোধ এমন পর্যায়ে যায় যে, এক বৃদ্ধাও ইউনুস সর্দারের মৃতদেহে দুটো লাথি মেরে যান। এ দৃশ্য আমি সে সময় দেখেছি। মিয়ানমার সরকারের কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার এলে শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কয়েদিদের ফেরত নেয়ার জন্য বলা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে আমি তাদের কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে আসি। রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বললেই তিনি বুঝতে পারবেন তারা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা। কয়েদিদের দীর্ঘ তালিকা তাদের সামনে রাখা হলে তিনি নামগুলো পড়ে তিনটি নামের পাশে টিক দিয়ে বলেন, সম্ভবত এরা মিয়ানমারের, বাকিরা আমাদের নাগরিক নয়। যে তিনটা তিনি চিহ্নিত করলেন সেগুলো ‘অং’ ‘মং’ ইত্যাদিযুক্ত। বাকি গুলো মুসলমান নাম। মিয়ানমার নাগরিক কিনা শনাক্তকরণের জন্য নাম দেখাই তাদের জন্য যথেষ্ট। তবু তারা কিছু ফরম দিয়ে গেলেন। বাস্তবতা হচ্ছে, অধিকাংশ কয়েদি নাম ছাড়া ফরমের অন্য কোনো তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। অন্য একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এবং সামরিক অ্যাটাশেকে বলি, আপনাদের দেশের রাজনৈতিক নেত্রী সু কির মুক্তির দাবি তুলে এই কয়েদিরা আমাদের কারাগার ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তাদের একজন তাৎক্ষণিকভাবে বলেন, সে জন্যই তারা কারাগারে। আর সম্মানের সাথেই অং সান সু কির নাম উচ্ছারণ করে বলেন, শি ইজ অ্যা রয়াল গেস্ট, এনজয়িং গুড ডিনার। তিনি রাজকীয় অতিথি। বস্তুত সেনাবাহিনীর সাথে কি সমঝোতা করে তিনি গৃহবন্দি জীবনযাপন করেছেন, কোন সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন এর সবই আমাদের অজানা। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সর্বময় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটি যে পুরোপুরি সেনাবাহিনীর কব্জাতে ছিল এটা সু কির দেশবাসী যেমন জানত, তেমনি জানত প্রতিবেশী দেশ, তেমনি জানত পশ্চিমের গণতন্ত্রের শোরতোলা দেশগুলোও। আমরা সাধারণত ১৯৬২-তে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের কথা টেনে আলোচনা শুরু করি। বাস্তবতা মোটেও তা নয়। এই নে উইনই ১৯৫৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কার্যত তখন থেকেই দেয়া সামরিক শাসনাধীন। তার আগে বার্মিজ সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা অং সানের চানক্য নীতি অনুসরণ করে তার উত্তরসূরিরা। অং সান জার্মান-জাপান শক্তির পক্ষে লড়াই করেছেন কিন্তু যখন টের পেলেন তাদের পরাজয় আসন্ন অক্ষশক্তি ছেড়ে মিত্রশক্তির পক্ষে চলে এলেন। প্রাক-স্বাধীনতা বার্মা সরকারের নেতৃত্ব তিনিই দিচ্ছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র ছ’মাস আগে ১৯ জুলাই ১৯৪৭ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি যখন তার নতুন কেবিনেটের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চারজন সৈন্যের কেবল একটি মাত্র জিপ এসে থামে। কেউ তাদের বাধা দেয়নি। তাদের হাতে টমি গান, স্টেনগান এবং গ্রেনেড। কাউন্সিল রুমে গিয়ে ‘কেউ নড়বে না’ হুমুক দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। অং সানসহ আটজন নিহত হন। তাদের মধ্যে মুসলমান শিক্ষামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও ছিলেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধপর্ব প্রধানমন্ত্রী উ সো ১৯৪৬ সালে আততায়ীর আক্রমণ থেকে বেঁচে যান, তবে একটি চোখ হারান। অং সান যেদিন নিহত হলেন তিনি সেদিনই গ্রেপ্তার হন এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য ফাঁসিতে ঝুলেন। কোনো ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণবিহীন ব্যক্তি উ সো এমন একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন, তাও অনেকের কাছে অবিশ^াস্য মনে হয়েছে। এখন সাধারণভাবে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, ব্রিটিশ গোয়েন্দারাই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। অং সানের স্থলাভিসিক্ত হওয়া উ সো অবশ্য বলেছেন, এতে ব্রিটিশদের কোনো ভ‚মিকা নেই, আর জেনারেল খায় জ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী উ সো নিজেই ষড়যন্ত্রকারী। সেই অং সানই সদ্য পুনঃবন্দি অং সান সু কির বাবা। বার্মাতে বৌদ্ধ নেতৃত্বের এক ধরনের ব্রাহ্মণ্যবাদ সৃষ্টি যাদের হাতে হয়েছে তিনি তাদের একজন। বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে ৪ জানুয়ারি ১৯৪৯। এর পরপর অং সানের অনুসারীরা কারেন সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা বার্মিজ সেনাপ্রধান স্মিথ ডানকে অপসারণ করে ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৯ নে উইনকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেয়। এই অপসারণ কারেন বিদ্রোহ উসকে দেয়। ১৯৪৯-এর ৪ জানুয়ারি যখন স্বাধীন বার্মা রাষ্ট্র গঠিত হয় তাদের মানচিত্রের সব রাজ্য বার্মায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায়নি। আরাকান ও মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল লোয়ার বার্মা মূলত বলপূর্বক দখলকৃত অঞ্চল। ১৯৩৭ পর্যন্ত বার্মা ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল। তারপর পৃথক প্রদেশ ঘোষিত হয় এবং জাতিগত বার্মিজ (বার্মার) গোষ্ঠীর একক ক্ষমতা প্রদর্শনের রঙ্গভ‚মিতে পরিণত হয়। ১৯৪৮-এর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বার্মার বিরোধী এক কুড়ি সশস্ত্র বিদ্রোহ হয়েছেÑ জনযুদ্ধহীন একটি দিন সামরিক আমলে কিংবা প্রধানমন্ত্রী উ সো বা সু কির কথিত গণতান্ত্রিক আমলেও অতিবাহিত হয়। সু কির বাবা অং সান, সেনাপতি শাসক নে উইন, থান শুয়ে কিংবা এখনকার সেনাপতি মিন অং হ্লাইং সবাই একই গোত্রভুক্ত। বার্মার স্বাধীনতার প্রতিশ্রæতি দলিলে অনাগ্রহী রাজ্যগুলোকে দশ বছরের মধ্যে স্বাধীনতা প্রদানের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু ক্রমাগত সামরিক শাসন এবং কারেন সংকট, রোহিঙ্গা সংকট তাদের শাসনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে টিকিয়ে রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত মানবতা দেখিয়েছে, প্রশংসা ছাড়া নগদে গলা উঁচিয়ে বলার মতো কিছু পায়নি। থাইল্যান্ডে কারেন শরণার্থীর সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১ লাখ ৩০ হাজারÑ এটাকে পুঁজি করে থাইল্যান্ডের মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে অভাবনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সেই কারেনরা থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট পায়নি, ভোটার হয়নি। আমরা পালন করছি অন্তত দশগুণ বেশি শরণার্থী। তারা পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে বিশাল বসতি স্থাপন করেছে। সে দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বাড়েনি, বেড়েছে সু কিদের পাঠানো শরণার্থী। ব্যর্থতা আমাদেরই। শরণার্থী ফেরত পাঠানোর একটি সফল মডেল তো ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের হাতে কলমে দেখিয়েছে। ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App