×

সারাদেশ

পোড়াদহ মেলায় লাখ টাকায় বিক্রি হলো বাগাড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৪৬ এএম

পোড়াদহ মেলায় লাখ টাকায় বিক্রি হলো বাগাড়

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় গতকাল ৬৫ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ আনা হয়েছে। যমুনা নদীতে ধরা পড়া মাছটির দাম হাঁকা হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা -ভোরের কাগজ

বগুড়ায় ঐতিহাসিক পোড়াদহ মেলায় একটি বাগাড় মাছের দাম লাখ টাকা। মেলায় মাছটি দেখতে ভিড় করেন ক্রেতারা। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পোড়াদহ মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ মেলায় উঠেছে। বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙাশ, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেলায় সবচেয়ে বড় মাছ ছিল ৬৫ কেজি ওজনের বাগাড়। মহিষাবান এলাকার মোস্তাফিজার রহমান মাছটির দাম চেয়েছেন এক লাখ টাকা। এছাড়া ১৫ কেজি ওজনের বোয়াল মাছের দাম প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা হিসাবে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ব্রিগেড ৪০০ টাকা কেজি, কাতলা ৩৫০ টাকা, ব্ল্যাককার্প ৬০০ টাকা ও রুই ৪০০ টাকা কেজি দাম হাঁকছেন। জানা গেছে, বগুড়া তথা গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বউ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় বিক্রি হয়েছে কয়েক হাজার মণ মিষ্টি। মাছের দাম কিছুটা চড়া হলেও বিক্রি হয়েছে বড় বড় বাগাড়, চিতল, ভেউস, বোয়াল, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।

স্থানীয় সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে দেড়শ বছরের পুরনো মেলায় ছিল প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। মেলায় প্রসিদ্ধ হলো বড় বড় মাছ, হরেক রকম মিষ্টি, কাঠ বা স্টিলের ফার্নিচার, বড়ই (কুল), কৃষি সামগ্রীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও খাদ্যদ্রব্য হাট-বাজারের ন্যায় কেনাবেচা করা হয়েছে। এছাড়া বিনোদনমূলক ছিল সার্কাস, মোটরসাইকেল-কার, নৌকা খেলা ও নাগোরদোলা। ঈদ বা কোনো উৎসবে জামাই-মেয়েসহ অন্যান্য স্বজনদের দাওয়াত না দিলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে মেলা উপলক্ষে দাওয়াত দিতেই হবে, যা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। মেলাটি একদিনের জন্য হলেও ওই এলাকায় মেলার আমেজ থাকে সপ্তাহব্যাপী। মেলাটি জন্মের পর থেকে মহিষাবান গ্রামের মণ্ডল পরিবার পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেলার লাইসেন্স দেয়া হয়। যে কারণে মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আমিনুল ইসলাম মেলাটির নেতৃত্বে ছিলেন। প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার মেলাটি হয়ে থাকে। কিছু সমস্যার কারণে গত ২-৩ বছর হলে মূল জায়গা থেকে একটু দূরে মেলাটি বসানো হয়। মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে মেলা সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, সবার সার্বিক সহযোগিতায় মেলাটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে পোড়াদহ মেলা শেষে আজ বৃহম্পতিবার মহিষাবান গ্রামে বউ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ থাকায় তরুণী, গৃহবধূসহ সব বয়সের মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করে থাকে। প্রায় ২২ বছর পূর্বে থেকে বউ মেলা হয়ে আসছে। বউ মেলায় সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রানিরপাড়ায় কয়েক বছর থেকে যুবলীগ নেতা সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে আরেকটি বউ মেলা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App