×

মুক্তচিন্তা

করোনায় রাজনৈতিক অর্থনীতির অবয়ব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:১১ পিএম

মহামারি করোনাকালেও স্পষ্ট হচ্ছে বিশ্বের সামগ্রিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের ৮২ ভাগ সম্পদের মালিক ধনিক শ্রেণিভুক্ত মাত্র এক ভাগ মানুষ। ধনকুবেরদের সুরতহাল প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে, বিশ্বের বেশিরভাগ সম্পদ গুটিকয়েক পরিবারের হাতে। পুঁজিবাদের অনিয়ন্ত্রিত ও বল্গাহীন বিকাশের কারণে একই প্রকার সামাজিক ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার আওতায় থেকেও মানুষে মানুষে ব্যাপক পার্থক্য এবং শোষণ ও বঞ্চনাবোধের মনোজাগতিক বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই নতুন মানবিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণবাদের বিস্তৃতি ঘটেছিল তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করেছিল। অতঃপর উত্তর আমেরিকায় ব্রিটিশ কলোনির বিরুদ্ধে গণজাগরণ, গৃহযুদ্ধ ও মার্কিন গণতন্ত্রের যে মাইলফলক সূচিত হয়েছিল তা বিশ্বের রাজনৈতিক ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেয়। আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানুষ আর মেশিন, মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি আর মেশিনের কার্যক্ষমতার মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সূত্রপাতই শুধু ঘটাবে না, সেই যুদ্ধে মানুষ যে দক্ষতা ও পারঙ্গমতা দেখাবার হিম্মত রাখে তাকে কাবু করার কাজ করোনা করেই চলেছে। দেশে-বিদেশে সৃজনশীল শিল্পোদ্যোক্তাদের করোনায় মৃত্যুর মিছিল দেখলে তা বোঝা যায়। অর্থব্যবস্থাকে বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা এবং পুঁজির পুঞ্জিভবন দ্বারা করপোরেট অর্থনীতির জয়যাত্রা সূচনার ধারক ও বাহক হচ্ছে রাজনৈতিক অর্থনীতির আধুনিকতম এজেন্ডা। মূলত এবং মুখ্যত রাজনীতি ও অর্থনীতি এ দুয়ের মধ্যে এখন কে বড় কে ছোট, কে কার দ্বারা কতখানি প্রভাবিত, উদ্বুদ্ধ কিংবা পরিচালিত হয় বা হচ্ছে তা আজো বিশ্বব্যাপী কোথাও খোলাসা করা সম্ভব হয়নি। কেননা যুগে যুগে স্থান, পাত্র ও প্রক্রিয়াভেদে অর্থনীতি ও রাজনীতি অধিকাংশ সময় অনিবার্যভাবেই সমতালে ও সমভাবনায় এগিয়ে চলছে। সে কারণে প্রায়ই মনে হয়েছে বড্ড পরস্পর প্রযুক্ত এরা। যেন দুজনে দুজনার। যদিও অনেক সময় এটাও দেখা গিয়েছে রাজনীতি অর্থনীতিকে শাসিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ করেছে : আবার অর্থনীতি রাজনীতিকে অবজ্ঞার অবয়বে নিয়ে যেতে চেয়েছে বা পেরেছে। গত শতকে রাজনৈতিক অর্থনীতির ধারণা বেশ ব্যাপ্তি লাভ করে। এ কথা ঠিক, বহমান বর্তমান বিশ্বে, ক্রমশ, অর্থনীতিই রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণের পথে নিয়ে যাচ্ছে। কেননা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে শুরু করে, সব পর্যায়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সব কিছুতেই নীতিনির্ধারণে অর্থ নিয়ামক ভ‚মিকায়। এখন রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, এমনকি রাজস্ব আহরণ, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সিদ্ধান্ত হচ্ছে আর্থিক ক্ষমতাবানের প্রভাবের ও সক্ষম সম্ভাবনার নিরিখে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব নীতিনির্ধারণ করে অর্থনৈতিক জীবনযাপনকে জবাবদিহির আওতায় এনে সুশৃঙ্খল, সুশোভন, সুবিন্যস্ত করবে এটাই ঠিক। কিন্তু নীতিনির্ধারকের পাশে থেকে, যদি ভক্ষক হয়ে নিজেই অর্থনৈতিক টানাপড়েন বাধা বিঘœ নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টির কারণ হয়, তখন আমজনতার অর্থনৈতিক জীবনযাপন পোষিত (facilitated, supported) হওয়ার পরিবর্তে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নীতিনির্ধারক নেতৃত্ব যদি নিজস্ব তাগিদে ও প্রয়োজনে নিজস্ব উপায়ে সম্পদ ও স্বার্থ সংগ্রহে আত্মসাতে ব্যাপৃত তখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের এখতিয়ার ও ক্ষমতা খর্ব হয়। আইন সভায় নীতিনির্ধারক বিধিবিধান তৈরি করবেন সবার জন্য প্রযোজ্য করে, নিরপেক্ষভাবে, দূরদর্শী অবয়বে। কিন্তু সেই আইন প্রয়োগে নীতিনির্ধারক নিজেই নিজেদের স্বার্থ, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, প্রতিপক্ষরূপী বিরুদ্ধবাদীদের বঞ্চিত করতে, অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতায় (theory of denial) স্বেচ্ছাচারী অবস্থান গ্রহণ করেন তখন ওই আইনের প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় সন্দেহ তৈরি হতে পারে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উৎপাদনে সম্পদে সংসার-সমাজসহ নীতিনির্ধারককে যেমন একটি রূপময়, বেগবান, ঐশ্বর্যমণ্ডিত ও আনন্দঘন সক্ষমতাদান করে, রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকের ভুল পদক্ষেপের দ্বারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে, সমৃদ্ধির সক্ষমতা ও সুযোগকে তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ-পক্ষপাতযুক্ত করে ফেলে, দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ হয় বিপন্ন এবং এর ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা শুধু দ্বিধাগ্রস্ত নয়, হয় বাধাপ্রাপ্তও। দেখা গেছে, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দেশে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে ভাটা পড়ে, যা সার্বিক বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিনিয়োগ ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকারের শেষ সময়ে প্রকল্প পাসের গতি বাড়ে। গণতন্ত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার থাকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের। নির্বাচনের ইশতিহারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির নানান প্রতিশ্রæতি ঘোষণা করে রাজনৈতিক দল। ভোটারকে প্রতিশ্রæতি দেয়া হয় ক্ষমতায় গেলে এ জাতীয় উন্নয়নের বন্যায় ভেসে যাবে দেশ। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর নেতৃত্ব তা যদি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে না পারে তাহলে ব্যর্থতার ও অভিযোগের তীর নিক্ষিপ্ত হয় খোদ রাজনীতির প্রতি, এর নেতিবাচকতার দিকেই। অতীতে রাজা-বাদশাদের রাজনীতি আবর্তিত হতো মসনদে আহরণকে কেন্দ্র করে; সে সময় প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হতো সেভাবেই। মসনদ আহরণের ধ্রæপদ মুখ্য প্রেরণা ও শক্তির উৎস ও লক্ষ্য থাকত অর্থ, প্রতিপত্তি উদ্ধার ও অধিকার। এই ভারত বর্ষে কোম্পানি আমলে এ দেশ প্রশাসিত হয়েছিল সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে। ছিল নানান খাজনা রাজস্ব আদায়কামী অর্থনীতি। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা চালু করেছিলেন তা ছিল মধ্যস্বত্বভোগী জমিদারের মাধ্যমে রায়তের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্যই। কিন্তু প্রজার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন সবই কোম্পানির মুনাফামুখী দৃষ্টিভঙ্গিতে উপেক্ষিত থাকে। ফলে রায়ত বা প্রজাকুল অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার পদে পদে নানান বঞ্চনার শিকার হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের মূল কারণ যতটা না সামাজিক কিংবা ধর্মীয় তার চাইতে বেশি ছিল অর্থনৈতিক। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার এ দেশের শাসনভার গ্রহণ করার পর নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গটি সামনে আসে। সে দায়িত্ব পালনের জন্য নাগরিকদের ওপর কর আরোপ প্রথা প্রবর্তন করা হয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনা হয়। এসবই কিন্তু মূলত এবং মুখ্যত রাজনীতিকে অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্য সামঞ্জস্য আনার জন্য, দায়বদ্ধ পরিবেশ সৃজনের জন্য। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থিত দুটি অঞ্চলকে নিয়ে একটি পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনামলে দেখা গেল পূর্বাঞ্চল নানান বৈষম্যের, অর্থনৈতিক বঞ্চনা ও পক্ষপাতিত্বকরণের শিকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাত ও মূল কেন্দ্রবিন্দু এই অর্থনৈতিক বণ্টন বৈষম্য দূরীভ‚ত করার আকাক্সক্ষাকে কেন্দ্র করে। সে সময় প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক অর্থনীতির চিন্তা-চেতনা সামনে চলে আসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ উচ্চারণ করে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যুদয় বিশেষ করে পাকিস্তানের সমাজ-সংসার থেকে পৃথক স্বাধীন সার্বভৌমত্ব অর্জনের মূল কারণ ও প্রেরণা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি তথা শোষণ মুক্তি ও বণ্টনে বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে মুক্তি। তদানিন্তন পাকিস্তানি রাজনীতির ব্যর্থতা ছিল আঞ্চলিক উন্নয়ন তথা স্বয়ম্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ব্যাপারে সব অঞ্চলে সুষম, সুশোভনীয় সুশীল আচরণে অপারগতা। ব্যর্থতা। প্রকারান্তরে বলি পশ্চিম পাকিস্তানিদের নিজেদের আর্থিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবির সিংহভাগ ছিল অর্থনৈতিক হিস্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ও সুযোগের সুষম বণ্টন। বাংলাদেশের ৫০ বছর বয়োক্রমকালে ইতোমধ্যে কয়েকটি নীতিনির্ধারক সরকার নেতৃত্বে এসেছে। প্রত্যেকের কিছু না কিছু অবদানে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের সংখ্যা কমছে, দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে বা হচ্ছে। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, মানুষের মাথাপিছু আয়ের পরিস্থিতিতে উন্নতি সাধিত হয়েছে। বাজেটের বপু বেড়েছে, এডিপির আকার বেড়েছে। এখানে স্বভাবত প্রশ্ন এসেছে, অর্থনীতির এই উন্নয়নে সরকারগুলোর একক কৃতিত্ব কতখানি। এসব সাফল্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সৃজনশীলতা, নির্ভরযোগ্যতা, সততা স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার ভ‚মিকা বেশি না আমজনতার অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় স্বচ্ছ সলিলা শক্তির বলে এটি বেড়েছে। এটাও দেখার বিষয় যে, পরিস্থিতি এমন হয়েছে কিনা আমজনতার নিজস্ব উদ্ভাবন প্রয়াসে অর্জিত সাফল্য বরং নীতিনির্ধারকের নিজেদের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের দ্বারা বরং বাঞ্ছিত উন্নয়ন অভিযাত্রা বাধাগ্রস্ত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন প্রয়াসে তাদের কর্মোন্মাদনা ও প্রেরণায় ক্ষমতালোভী দুর্নীতিদগ্ধ রাজনৈতিক অভিলাষ বাধা সৃষ্টি করেছে কিনা কিংবা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও সেবা প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত কিংবা বিড়ম্বনাদায়ক হয়েছে কিনা। বাংলাদেশের সংবিধানের ২০(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসেবে কোনো ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না’। অনুপার্জিত আয়, দুর্নীতিজাত আয়কে বৈধতা দানের জন্য রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ছাড় দিচ্ছে কিনা সেটা বিশ্লেষণের তাগিদ অনুভূত হবে বা নজর যাবে সংবিধানে প্রদত্ত উপরোক্ত মৌলিক নীতি নির্দেশনার আলোকে। অতি সম্ভাবনাময় এই অর্থনীতির এই অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টির নানান সমস্যা সীমাবদ্ধতাকে নিয়ন্ত্রণ দূরীভূতকরণের দায়িত্ব যে নীতিনির্ধারক নেতৃত্বের তাদের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়টি এখন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক দোষারোপের অবয়বে অর্থনীতির যে ক্ষয়ক্ষতি সাধন তা কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। কোনো ঘটনার কারণ (পধঁংব) ঘটিয়ে সেই ঘটনার ফলাফলের (বভভবপঃ) ওপর দোষ চাপালেই ক্ষয়ক্ষতির দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ শেষ হয় না। ঘটনার কারণ ও কার্যকরণও পর্যালোচনাযোগ্য। দলীয় বা কোটারিগত, শ্রেণিগত পক্ষপাতিত্বে অর্থনীতিতে যে ভারসাম্যহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা অবশ্যই অনুধাবনীয়। সাম্প্রতিককালে, এমনকি এই করোনাকালে দেখা গিয়েছে জনগণ নিজেদের দিন এনে দিন খাওয়ার টানাপড়েনের অর্থনীতিতে অতিশয় সতর্ক ও মনোযোগী হতে বাধ্য হয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার বিপরীতে। রাজনীতিকে অর্থনীতির প্রতিপক্ষ প্রতিপন্নকরণের পথ এড়াবার স্বার্থে নীতিনির্ধারকের নিজেরই দায়িত্বশীল হওয়ার যৌক্তিকতা হারিয়ে যায়নি, যেতে পারে না। ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ : সরকারের সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App