যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থান করে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রচার/অপপ্রচার চালায়, সে সকল রাষ্ট্রদ্রোহীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ ধরনের অপরাধ নিয়ে আগামী বৈঠকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্তির কথা বলেছে কমিটি।

বুধবার সংসদ ভবনে স্থায়ী কমিটির ১৫তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে মাদকাসক্ত আসামিরা বিশেষ অপরাধী- বিধায় মাদক মামলায় আটককৃত আসামিরা যাতে সহজে জামিনে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া মাদক মামলাসহ সকল মামলায় জড়িত আসামি যে দলেরই হোক না কেন তাকে কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

বৈঠকে আগ্নেয়াস্ত্র বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়ার জন্য কমিটি বলেছে।

পাবনা জেলা কারাগারকে শহরের বাহিরে স্থানান্তর করা যায় কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। ১৯৭১ সনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজ পরিচালনার জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর সার্বিক কার্যক্রমের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ অধীনস্থ সংস্থাগুলোর প্রধানগণ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।