চলতি ফেব্রুয়ারি বা আগামী মার্চে ভাসানটেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি জাতিসংঘ এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সরেজমিনে পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ভারত থেকে যথাসময়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রাপ্তির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অভিবাদন জানানো হয়। সেইসাথে পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাক্সিন আমদানির উদ্যোগ নেয়া এবং ভারত থেকে ভ্যাক্সিন আনার প্রক্রিয়াটি চলমান রাখতে যথাযথ তদারকি করার সুপারিশ করা হয়।

স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে ১৮তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ, কে, আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দ: প্রিন্স, নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), কাজী নাবিল আহমেদ, মো. হাবিবে মিল্লাত এবং মো. আব্দুল মজিদ খান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে ফারুক খান বলেন, ভাষানটেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন নিয়ে প্রথমত জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কিছুটা নেতীবাচক মনোভাব পোষণ করে। সে কারণে প্রত্যাবাসনের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না। এখন রোহিঙ্গারা ভাষানটেকে ভাল আছে এটা তারা নিজেরাই বলছে। সেকারণে আমরা মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্টদের বলেছি তাদেরকে ভাষানটেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সরজমিন দেখানো হোক। তাহলে তারাও বুঝবে কাজটা কতটা ভাল হয়েছে।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিসংখ্যান সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হয়। বৈঠকে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী মিশনগুলোকে সম্পৃক্ত করে পণ্য রপ্তানির টার্গেট নির্ধারণের পাশাপাশি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এসময় কমিটি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুপারিশ করে। বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পতিত কৃষি জমি খুঁজে বের করে কনট্যাক্ট ফার্মিং এর ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।